গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত বছর ডিসেম্বর মাসে একাদশতম জাতীয় নির্বাচনে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগ ও তার জোট। ৯৬ শতাংশ আসনে জয়ী হয়েছে তারা। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতি মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেয়নি সেদেশের শীর্ষ আদালত। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল এখন অশীতিপর প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১০ বছরে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশের আজ জিডিপি ৭.৮ শতাংশ। মুদ্রাস্ফীতির হার ৬ শতাংশের নীচে। বিদেশি বিনিয়োগও আসছে। কিন্তু এরপরও বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও বাংলাদেশের প্রতি চারজনের একজন গরিব। চতুর্থবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়ে তাই দারিদ্র্য দূরীকরণকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন হাসিনা। খাদ্যসুরক্ষা, আবাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, কর্মসংস্থানের মতো মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলি পূরণের লক্ষ্যেই কাজ করতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি। নারী শিক্ষার বিকাশেও যে তিনি চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি সেই দাবিও করেছেন মুজিব-কন্যা। সাক্ষাত্কারে হাসিনা আরও বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষই আরও ভালোভাবে বাঁচতে চায়। আমাদের তা নিশ্চিত করতে হবে।’ মুক্ত চিন্তাকে তিনি সমর্থন করেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে সমালোচনা যে তাঁকে স্পর্শ করে না হাবেভাবে তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
অন্যদিকে, সাক্ষাত্কারে রোহিঙ্গা সমস্যার প্রসঙ্গও উঠে এসেছিল। রোহিঙ্গাদের জন্য আপাতত একটি দ্বীপে ঘরবাড়ি তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন হাসিনা। তাদেরকে সেখানে নিয়ে গিয়ে কাজ দিতে চান বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, এতে রোহিঙ্গারা স্থানীয়দের জায়গা ও কাজ কেড়ে নিচ্ছে এই অভিযোগ প্রশমিত হবে। তবে রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরত যাওয়াই এই সমস্যার সমাধান বলেই এক প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন তিনি। হাসিনার কথায়, মায়ানমারের সঙ্গে কোনও বিবাদে না গিয়েই এই সমাধান চায় বাংলাদেশ। তবে এর জন্য চীন ও ভারতকেও এগিয়ে আসতে হবে।