পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির নির্গমন রোখা যাচ্ছে না। সেই কারণে সূর্যের তাপ মহাকাশে ফিরে যেতেও পারছে না। আর তার জেরেই ভূপৃষ্ঠের পাশাপাশি গরম হয়ে উঠছে সমুদ্র। এই শতাব্দী শেষের আগেই সমুদ্রপৃষ্ঠের উপরের দু’হাজার মিটারের তাপমাত্রা ০.৭৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে কাপলড মডেল ইন্টারকমপ্যারিজন প্রজেক্ট ৫ (সিএমআইপি৫) মডেল। উষ্ণতা বাড়ার কারণে হিমবাহ ও মেরুপ্রদেশের বরফ গলে গিয়ে সাগরের জলস্তর ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা গবেষকদের। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জেকে হাউজফাদার বলছেন, ‘যদি আপনাকে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব কোথায় দেখতে হয়, তাহলে সমুদ্রের দিকে দেখুন।’ তাঁর মতে, ভূপৃষ্ঠের তুলনায় সমুদ্রে বিশ্ব উষ্ণায়নের লক্ষণ বোঝা অপেক্ষাকৃত সহজ।
২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে প্রকাশিত চারটি গবেষণাপত্র সামুদ্রিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রবণতা বিশ্লেষণ করে এই নয়া সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন গবেষকরা। তাপমাত্রার পরিমাপ, সেগুলির মধ্যে থাকা তারতম্য ও ত্রুটিগুলি পর্যালোচনা করে তা সংশোধন করা হয়েছে। গত দশক থেকেই সামুদ্রিক নজরদারি সংস্থা আর্গো ৪,০০টি ভাসমান রোবটের মাধ্যমে সমুদ্রের তাপমাত্রা, লবণাক্ততা, পিএইচ মাত্রা ইত্যাদির তথ্য সংগ্রহ করে। সাম্প্রতিক গবেষণায় তাদের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে সমুদ্রের উষ্ণতা বৃদ্ধির সামগ্রিক চিত্রটি পাওয়া গিয়েছে।