বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
মহাকাশে যে আলোর সঙ্কেতের সন্ধান মিলেছে, জ্যোতির্বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় ফাস্ট রেডিও বার্স্ট (এফআরবি)। বিজ্ঞানীদের মতে, এই আলোর সঙ্কেত অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী হয়। একটি নির্দিষ্ট লয়ে এগুলি জ্বলে এবং নেভে। ক্ষণস্থায়ী হলেও, এই এফআরবি কয়েক সেকেন্ডে যে পরিমাণ তাপ বিকিরণ করে, তা পৃথিবীতে আসা সারা বছরের সূর্যরশ্মির তুলনায় অনেকটাই বেশি। তাই বিজ্ঞানীদের একাংশ এই রহস্যময় আলোর ঝলসানির পিছনে ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব রয়েছে বলে দাবি করেছেন। যেহেতু, এই আলোক সঙ্কেতের উৎস সম্পর্কে সঠিকভাবে কিছু জানা যায়নি, তাই এর নেপথ্যে এলিয়েন প্রযুক্তির যোগ রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক তথা এই গবেষকদলের অন্যতম সদস্য অরুণ নাইডু জানান, এই রেডিও তরঙ্গগুলির উৎস সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কিছুই জানা যায়নি। কিন্তু, যে কম্পাঙ্কে এই তরঙ্গ ব্রহ্মাণ্ডে ছড়িয়ে পড়ছে, তা খুবই চমকপ্রদ। পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে আমরা জানতে পেরেছি, যেখান থেকেই ওই সঙ্কেতগুলি উৎপন্ন হোক না কেন, ওই সঙ্কেতের তরঙ্গগুলি কখনওই একটি নির্দিষ্ট কম্পাঙ্কের নীচে নামে না। এই বিষয়টাই আমাদের কৌতূহল বাড়িয়েছে।’
এই প্রথম নয়। অতীতেও এই রেডিও তরঙ্গের অস্তিত্ব পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু, সেগুলি এতটাই কম সময়ের জন্য স্থানীয় ছিল যে, ঠিক কোথা থেকে আসছে তা জানতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। কিন্তু, এবার পরিস্থিতি অন্যরকম। জানা গিয়েছে, কানাডিয়ান হাইড্রোজেন ইন্টেনসিটি ম্যাপিং এক্সপেরিমেন্টের (কাইম) শক্তিশালী টেলিস্কোপে ফের ধরা পড়েছে এই এফআরবি। একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে তিন সপ্তাহে অন্তত ১৩ বার এই আলো জ্বলেছে-নিভেছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, এত ঘনঘন আলো জ্বলতে-নিভতে দেখা যাওয়ায় এবার তার উৎস সম্পর্কে খোঁজখবর চালানো সম্ভব হবে বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। বিজ্ঞানীরা এই সঙ্কেতকে রিপিটেড ফাস্ট রেডিও বার্স্ট বলে অভিহিত করেছেন।