পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মঙ্গলবার তুরস্কের একটি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক। ওই সাক্ষাৎকারে দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধ-প্রসঙ্গের পাশাপাশি উঠে আসে কাশ্মীর ইস্যুও। ইমরান বলেন, পাকিস্তানের ক্ষমতায় এসে প্রথমেই শান্তি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ভারতকে। বলা হয়েছিল, শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভারত এক পা ফেললে পাকিস্তান দু’ পা এগিয়ে দেবে। কিন্তু আমাদের সেই প্রস্তাবে এখনও সাড়া দেয়নি ভারত।
ভারতের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেই থেমে থাকেননি ইমরান। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে কিংবা যুদ্ধ বাধলে তার পরিণতি হবে ভয়ঙ্কর। দু’টি দেশই পরমাণু শক্তিধর। সেক্ষেত্রে যুদ্ধ হলে তা হবে ‘আত্মহত্যার শামিল’। চরম ক্ষতির মুখোমুখি হবে দু’টি দেশই। আর এই ভয়ঙ্কর পরিণতি ঠেকাতে ইমরান চান, দু’দেশের দ্বান্দ্বিক ইস্যুগুলি আলোচনার টেবিলে আসুক। তেহেরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর শীর্ষনেতার কথায়, ‘ভারতের সঙ্গে আমার কথা বলতে কোনও আপত্তি নেই। এখনও আমি আলোচনায় আগ্রহী। এবং বিশ্বাস করি, যাবতীয় সমস্যা মেটাতে আলোচনাই একমাত্র পথ।’ তাঁর বক্তব্য উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে পিটিআই।
২০১৬ সালে ভারতে জঙ্গি হামলা এবং তার পাল্টা ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে’র পর দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। পাশাপাশি, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি কার্যকলাপে বারবার অশান্ত হয়ে উঠছে কাশ্মীর। লাগাতার সঙ্ঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনও করে চলেছে পাকিস্তান সেনা। এমনকী পাকিস্তানের মদতে কাশ্মীরে ছায়াযুদ্ধ চলছে বলেও অভিযোগ ভারতের। ইমরান ক্ষমতায় আসার পরও পরিস্থিতির কোনও বদল ঘটেনি। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি সীমান্তে পাকিস্তানের যুদ্ধ-প্রস্তুতির খবরও প্রকাশ্যে আসে। আর তার মাঝেই ইমরান নতুন করে আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে কাশ্মীর ইস্যুকে কৌশলে সামনে নিয়ে এলেন বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। ইমরান নিজেও ওই সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কাশ্মীরে দমন-পীড়নের নীতি থেকে পিছু হটছে না ভারত।