বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বস্ত্র উৎপাদক দেশ হল বাংলাদেশ। মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে রবিবার থেকে দেশজুড়ে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন বস্ত্রশ্রমিকরা। এদিন নতুন করে পাঁচ হাজার শ্রমিক রাজধানী ঢাকা সংলগ্ন হেমায়তপুরের সড়ক অবরোধ করেন। পুলিস সেই বিক্ষোভ হটাতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। পুলিসবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকেন তাঁরা। ঘটনায় ১২ জন পুলিস জখম হন। পুলিস আধিকারিক সানা শামিনূর রহমান জানিয়েছেন, ‘বিক্ষোভকারীরা পাথর ছুঁড়তে থাকলে আমাদের বাহিনী রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। বিক্ষোভ-আন্দোলনের জেরে বন্ধ রয়েছে দেশের ১২টি কারখানা।’ জানা গিয়েছে, বিক্ষোভে কমপক্ষে ৫০ জন কর্মী জখম হয়েছেন। নতুন করে কয়েক হাজার কর্মী আন্দোলনে শামিল হওয়ায় তা ঢাকা, আশুলিয়া এবং উত্তরায় ছড়িয়ে পড়েছে।
গত ৩০ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা চতুর্থবারের জন্য দেশের ক্ষমতা দখলের পর শ্রমিক বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। ডিসেম্বর থেকেই বস্ত্রশ্রমিকদের ন্যূনতম মাসিক বেতন ৫১ শতাংশ বাড়িয়ে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮০০০ টাকা করেছে সেদেশের সরকার। কিন্তু পদস্থ কর্মীদের দাবি, তাঁদের বেতন সেই অনুপাতে বাড়েনি। পাশাপাশি ইউনিয়ন জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে যে হারে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে, সেই অনুযায়ী বাড়েনি শ্রমিকদের বেতন। বাংলাদেশ গার্মেন্ট অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের প্রধান বাবুল আখতার বলেছেন, ‘পাঁচ বছর পর বাড়ানো হয়েছে বেতন। কিন্তু, এই পাঁচ বছরে জীবনযাপনের খরচ বেড়েছে আরও বহুগুণ।’
বস্ত্র উৎপাদনে চীনের পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। দেশজুড়ে রয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার বস্ত্র কারখানা। যা সারা বিশ্বে গত বছরে ৩ হাজার কোটি ডলার মূল্যের বস্ত্র রপ্তানি করেছে। এছাড়া ওয়ালমার্ট, টেসকো, এইচ অ্যান্ড এম, কারেফোর এবং আলদির মতো খুচরো বিপণির জন্য পোশাকসামগ্রী উৎপাদন করে তারা। বিশ্বজুড়ে পণ্য রপ্তানি করলেও সবথেকে কম মজুরি পান বাংলাদেশের বস্ত্রশ্রমিকরাই। এমনকী, তাঁরা কাজ করেন অসুরক্ষিত এলাকায়। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি ভেঙে প্রাণ হারান ১ হাজার ১৩০ জনেরও বেশি শ্রমিক। যা বিশ্বের ভয়ঙ্করতম শিল্প বিপর্যয় নামে পরিচিত।