বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর তৈরির জন্য কংগ্রেসের কাছে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থসাহায্য চেয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু তা না মেলায় বিভিন্ন ফেডারেল এজেন্সির খরচ সংক্রান্ত কোনও বিলে সই না করার সিদ্ধান্ত নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শুরু হয় শাট ডাউন পরিস্থিতি। গত ২২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া শাট ডাউট পরিস্থিতির মোকাবিলায় ডেমোক্র্যাটদের তরফে প্রস্তাবও দেওয়া হয়। কিন্তু ট্রাম্প সরকার জানান, সীমান্তে প্রাচীর তোলার জন্য বা সীমান্ত সুরক্ষা বাড়ানোর জন্য অর্থ বরাদ্দ না করা হলে সমাধানসূত্র সংক্রান্ত কোনও প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে না। এরপরেই সীমান্ত সুরক্ষার জন্য ১৩০ কোটি বরাদ্দ করতে সম্মত হয় ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত হাউস।
শাট ডাউনের মোকাবিলায় রবিবার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সঙ্গে আলোচনায় বসেন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে সংখ্যাগরিষ্ঠ ডেমোক্র্যাট গোষ্ঠীর ভাবী স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এবং সেনেটের সংখ্যালঘু নেতা চাক শুমের। দু’পক্ষের মধ্যে সীমান্ত নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা যায়। গতকালের এই বৈঠকের পরেই সীমান্তে কংক্রিটের বদলে স্টিলের প্রাচীর তোলার প্রস্তাব দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর এই সিদ্ধান্ত ডেমোক্র্যাটদের খুশি করবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘কংক্রিটের বদলে আমরা স্টিলের প্রাচীর দেওয়ার পরিকল্পনা করছি। যা অত্যন্ত শক্তিশালী হবে। আমাদের কাছে এটা অত্যন্ত ভালো একটি সিদ্ধান্ত, কারণ স্টিলের এই প্রাচীরটিও আমেরিকায় তৈরি।’ ক্যাম্প ডেভিড থেকে হোয়াইট হাউসে ফিরে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে অনেকের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছি। আমি ইতিমধ্যেই তাঁদের জানিয়েছি যে, আমরা সীমান্তে স্টিলের প্রাচীর তুলব।’
নির্বাচনী প্রচারের সময়েই মেক্সিকো থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশ ও মাদক পাচার রুখতে সীমান্তে কংক্রিটের দেওয়াল তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভোটে জিতে মসনদে বসলেও ডেমোক্র্যাট পার্টির বিরোধিতায় এখনও পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি। শাটডাউন পরিস্থিতি সত্বেও প্রাচীর তৈরির জন্য বরাদ্দের দাবিতে অনড় ছিলেন ট্রাম্প। শেষ পর্যন্ত কংক্রিটের বদলে স্টিলের প্রাচীর দেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের আচমকা এই সিদ্ধান্ত বদল নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, ‘মেক্সিকো সীমান্তে কংক্রিটের প্রাচীর চায় না ডেমোক্র্যাটরা। সেই কারণেই আমরা তাদের স্টিলের প্রাচীরের প্রস্তাব দিয়েছি। স্টিলের প্রাচীর তৈরিতে খরচ বাড়বে। কিন্তু তা অত্যন্ত শক্তিশালী হবে। দেখতেও ভালো লাগবে।’ অনুপ্রবেশ রুখতে কেন সীমান্তে প্রাচীর তোলা প্রয়োজন, সাংবাদিকদের কাছে সেই বিষয়েও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি আরও বলেন, ‘সীমান্ত পেরিয়ে অপরাধীরা এদেশে ঢুকছে। মানব পাচারকারীদের পাশাপাশি ড্রাগ পাচারের মতো ঘটনাও ক্রমশ বাড়ছে। বহু বছর ধরেই এমন ঘটনা ঘটছে। আমরা এসব আর চলতে দেব না। সেই কারণেই আমাদের প্রয়োজন শক্তিশালী সীমান্ত।’ যদিও জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে হলে সীমান্তে প্রাচীর তৈরির খরচ কীভাবে দেওয়া হবে, সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।