বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
আর্থিক দিক থেকে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তান আর্থিক সাহায্যের জন্য যে ক’টি বন্ধু-রাষ্ট্রের কাছে হাত পেতেছিল, তার অন্যতম হল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। ক্ষমতায় এসেই সরকারের দৈনন্দিন কাজকর্ম চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণে আর্থিক সাহায্য চেয়ে আবু ধাবির কাছে দরবার করেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এই পরিস্থিতিতে রবিবার একদিনের পাক সফরে ইসলামাবাদ এলেন আরব আমিরশাহির যুবরাজ শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ বিন সুলতান আল-নাহনিয়ান। ওয়াকিবহাল মহলের মত, আর্থিক প্যাকেজের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করতেই সুলতানের এই সফর। কারণ, গত সপ্তাহেই ইসলামাবাদকে প্রায় ৬২০ কোটি মার্কিন ডলার আর্থিক সাহায্যের বিনিময় একাধিক শর্ত চূড়ান্ত করেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটাই যা বাকি রয়েছে।
এদিন রাওয়ালপিণ্ডির নুর খান বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করার পর যুবরাজকে লাল কার্পেট বিছিয়ে গার্ড অব অনার দিয়ে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। প্রথমে যুবরাজের সঙ্গে ইমরানের একক বৈঠক হয়। পরে দু’দেশের শীর্ষকর্তাদের মধ্যে আলাদা করে বৈঠক হয়। পাক বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, আরব আমিরশাহির যুবরাজের এই সফরের লক্ষ্য হল, দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত করা।
গত আগস্টে দু’বার আরব আমিরশাহিতে গিয়ে আর্থিক প্যাকেজের আর্জি জানিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। শুধু সংযুক্ত আরব আমিরশাহিই নয়, চীন এবং সৌদি আরবের কাছে অর্থ সাহায্য চেয়েছে পাকিস্তান। পাক মন্ত্রিসভার এক সদস্যের বক্তব্য উদ্ধৃত করে প্রকাশিত একটি সংবাদ রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই আর্থিক প্যাকেজ দেওয়ার পরিবর্তে আরব আমিরশাহি যে যে শর্ত চাপিয়েছে, সেই একই শর্ত দিয়েছে সৌদি আরবের সরকারও। জানা গিয়েছে, নতুন এই প্যাকেজ পেলে পাকিস্তান আরব আমিরশাহি থেকে তেল আমদানিতে ৭৯০ কোটি মার্কিন ডলার সাশ্রয় করতে পারবে। যা তাদের বার্ষিক তেল আমদানি বাবদ খরচের প্রায় ৬০ শতাংশ। ওই মন্ত্রিসভার সদস্যের দাবি, সৌদি এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির তরফে দেওয়ার মোট আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩৯০ কোটি থেকে ১৪০০ কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফিনান্স কর্পোরেশনের (আইটিএফসি) ১৫০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ এবং দু’দেশের প্রত্যেকের তরফে নগদ ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের সাহায্যও রয়েছে। দুই আরব রাষ্ট্রের পাশাপাশি চীনও ‘বন্ধুদেশ’ পাকিস্তানকে আর্থিক সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।