বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
গোয়েন্দা তদন্তে জানা গিয়েছে, জঙ্গি বাশারুজ্জামানের হাত ধরে ‘র্যা ডিক্যাল ইয়ুথ গ্রুপ’ গঠিত হয় ২০১৪ সালে। রাজধানীর ঢাকার মহম্মদপুরের একটি মসজিদকে কেন্দ্র করে এই গ্রুপটি গড়ে ওঠে। এই গ্রুপের অনেকেই বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেটের সান্নিধ্যে এসেছিল। বাশারুজ্জামানের হাত ধরে যারা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে র্যা ব। তারা হল- মাহাদি, শোভন ও বাধন। জঙ্গি বাশারুজ্জামান গা ঢাকা দেওয়ার পর সংগঠনটির কাজ কিছুদিন বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে গত দেড় বছর ধরে আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা নিয়মিত গোপন বৈঠক করত।
গ্রেপ্তার হওয়া জেএমবির ৮ সদস্যের পরিচয় সম্পর্কে র্যা ব সূত্রে জানা গিয়েছে, মির আফজাল আলি (৩৭) বর্তমানে আইডিবিতে আইটি শাখায় কর্মরত। সে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স করেছে। বিগত প্রায় ৮ বছর যাবৎ মহম্মদপুর এলাকায় বাস করছে। মাহাদি হাসান (২৩) পেশায় একজন ছাত্র। সে বর্তমানে ধানমণ্ডির একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে বিএসসি তৃতীয় বর্ষে পড়ছে। সে ২০১৪-১৫ সালে জঙ্গি বাশারুজ্জামানের সান্নিধ্যে আসে। রাশেদ আলম ওরফে বাধন (২৮) উত্তরার ইনসাইড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের গণিত বিভাগের শিক্ষক। সে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশোনা করেছে। চকলেটের মাধ্যমে সেও জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়। সে তার পরিচিত ও সংগঠনের বিভিন্ন সদস্যদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আরবে এবং ২০১৭ ও ২০১৮ সালে কতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অর্থ পাঠিয়েছিল।
জারির তাইসির (২৬) মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিবিএ বিভাগের শিক্ষার্থী। সে তার ঘনিষ্ট সহযোগী সিয়ামের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল। সিয়ামকে র্যা ব এর আগে গ্রেপ্তার করলেও বর্তমানে সে জেলের বাইরে। তার সঙ্গে জারির তাইসিরের দিন কয়েক আগেই বৈঠক হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া আসিফুর রহমান (২৮) একজন ফ্রি ল্যান্সার ও ওয়েব ডিজাইনার। সে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হয়। তবে শেষ পর্যন্ত বিএসসি (কম্পিউটার সায়েন্স) পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে পারেনি। সে এখন জেএমবির ইয়ুথ গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গি।
আরাফাত আজম (৩০) পেশায় একজন সফট্ওয়ার ইঞ্জিনিয়ার। সে ২০১৬-তে নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে সিএসই সম্পন্ন করে বর্তমানে পাঠাওতে আইটি এক্সপার্ট হিসেবে কাজ করছে। সেও জসিমউদ্দিন রহমানির মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়। র্যা ডিক্যাল ইয়ুথ গ্রুপের অপর সদস্য রাদিউজ্জামান হাওলাদার অনিক (২৭) উত্তরার ইনসাইড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের গণিত বিভাগের শিক্ষক। সে মূলত ধর্মীয় বই ও অনলাইনের মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয় বলে জাননিয়েছে র্যা ব। ধৃত জালাল উদ্দিন শোভন (২৮) এইচএসসি পর্যন্ত অধ্যয়ন করেছে। তিনি ২০১৪ সালে জঙ্গি বাশারুজ্জামান চকলেটের মাধ্যমে জেএমবিতে যুক্ত হয়। ধৃতদের কাছ থেকে সন্ত্রাসবাদে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, মোবাইল ও বিপুল পরিমাণ উগ্রবাদী বই উদ্ধার করা হয়।