কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বক্তব্য অসম্পূর্ণ অবস্থায় মাইক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন অধীরবাবু সহ কংগ্রেস এমপিরা। একেবারে স্পিকারের আসনের কাছে চলে আসেন তাঁরা। প্রশ্ন ছোঁড়েন, আমাদের কি সংসদে কিছুই বলতে দেওয়া হবে না? সরকার কি বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে চাইছে? একইসঙ্গে তাঁদের সওয়াল, কাশ্মীর ইস্যুর পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ, কৃষক এবং কৃষির সমস্যা, অর্থনৈতিক দুরবস্থার মতো যেসব ইস্যু বিরোধীরা সংসদে তুলতে চায়, আলোচনা করার দাবি জানাচ্ছে সেসবে কেন রাজি হচ্ছে না সরকার?
দলের মুখ্যসচেতক সুরেশকে সঙ্গে নিয়ে অধীরবাবু বলেন, সর্বদলীয় বৈঠকে বিরোধীদের তোলা যাবতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনায় রাজি বলছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লোকসভার কার্যপ্রণালী পরামর্শ কমিটিতেও আলোচনা হচ্ছে আমাদের তোলা বিষয় নিয়ে সংসদে চর্চা হবে। কিন্তু আদতে সরকার তো আমাদের কোনও দাবিই মানছে না। গণতন্ত্রে এটা হচ্ছেটা কী! বিরোধীদের বলতে না দেওয়ার প্রতিবাদে ওয়াক আউটও করেন কংগ্রেস সহ এনসিপি, ডিএমকে’র এমপিরা।
অন্যদিকে, নির্বাচনী বন্ড প্রসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে গতকাল সংসদের দুই কক্ষে সরব হওয়ার পর আজ সংসদ চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখাল কংগ্রেস। যদিও সেখানে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বা দলের প্রাক্তন সভাপতি তথা কেরলের ওয়ানাড়ের এমপি রাহুল গান্ধী উপস্থিত ছিলেন না। নির্বাচনী বন্ডের ফলে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি ৯৫ শতাংশ কর্পোরেট অনুদান পেয়েছে বলেই কংগ্রেসের অভিযোগ। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরও নির্বাচনী বন্ডের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে বলেও অভিযোগ চড়িয়ে এ ব্যাপারে খোদ প্রধানমন্ত্রীরই জবাব দাবি করেছেন কংগ্রেস এমপিরা।
নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বিজেপি দিন দুপুরে টাকা লুটছে বলেও স্লোগান তুলে এদিন সকালে সংসদের অধিবেশন বসার আগে গান্ধী মূর্তির সামনে সোচ্চার হন শশী থারুর, মণীশ তিওয়ারি, কপিল সিবাল, গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা সহ কংগ্রেসের লোকসভা এবং রাজ্যসভার এমপিরা। পরে অধিবেশন বসতেই লোকসভায় ভারত পেট্রোলিয়াম নিয়ে সরব হয় কংগ্রেস। এ ব্যাপারে দলের পক্ষ থেকে মুলতুবি প্রস্তাবও জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্পিকার তা খারিজ করে দিয়েছেন। তাই জিরো আওয়ারে বলার সুযোগ পেয়েই অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, এভাবে ভারত পেট্রোলিয়ামের মতো একটি সংস্থাকেও যদি নিলামে চড়ানো হয়, তাহলে ওই সংস্থার কর্মী, তাদের পরিবারের কী হবে?
সরকারের উদ্দেশে অধীরবাবু বলেন, সংস্থার কর্মীদের ভব্যিষৎ অন্ধকারে ঠেলে দেবেন না। সরকার তার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুক। সংসদে সেসময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, তথ্য-সম্প্রচার তথা ভারী শিল্পমন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর, নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী স্মৃতি ইরানির মতো বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। ভারত পেট্রোলিয়াম প্রসঙ্গে সরকারের বক্তব্য দাবি করেন অধীরবাবু। কিন্তু সরকারপক্ষ কোনও কিছু বলা তো দূর, তাঁদেরই ঠিক মতো বলতে না দেওয়ার প্রতিবাদে ওয়াক আউট করে কংগ্রেস।