কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোটের প্রচারে এসেছেন গাদকারি। তার ফাঁকে সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মহারাষ্ট্রে শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেসের জোটের প্রক্রিয়া নিয়ে খোলামেলা কথা বললেন। গাদকারির বক্তব্য, ‘এই জোটের ভিত্তি হল সুবিধাবাদ। একটি মাত্র লক্ষ্য নিয়ে এই তিনটি দল একত্রিত হয়েছে। তা হল বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখা। এই সরকার আদৌ তৈরি হবে কি না, আমার সন্দেহ রয়েছে। যদি সরকার তৈরিও হয়, তা ছয় থেকে আট মাসের বেশি টিকবে না।’
গাদকারির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত যদি ওই জোট ভেস্তে যায়, বিজেপি কি সরকার গড়ার চেষ্টা করবে? জবাবে তিনি বলেন, ‘সেরকম পরিস্থিতি তৈরি হলে ভবিষ্যতের কৌশল স্থির করবে দল।’ এরপর গাদকারির মন্তব্য, ‘ক্রিকেট ও রাজনীতিতে যা খুশি ঘটতে পারে। মতাদর্শের বিশাল ফারাক থাকা সত্ত্বেও সরকার গড়ার লক্ষ্যে কেন এই তিন দল জোট তৈরি করছে তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। শিবসেনার সঙ্গে বিজেপির জোটের ভিত্তি ছিল হিন্দুত্ব। মুখ্যমন্ত্রী পদের ভাগাভাগির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বলে শিবসেনা যে দাবি করছে, তা ঠিক নয় বলে আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি। বিজেপি সভাপতি ও অন্যান্যদের বক্তব্য হল, মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে দলের অবস্থান পরে স্থির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সবটাই দুর্ভাগ্যজনক দিকে মোড় নেয়। সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়ায় বিজেপি থেকেই মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত। আমরা আমাদের মতো করে চেষ্টা করেছি।’ প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ারের বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, গাদকারির কাছে তা জানতে চাওয়া হয়। জবাবে এই প্রবীণ বিজেপি নেতা বলেন, ‘এবিষয়ে বিস্তারিতভাবে আমার কিছু জানা নেই।’
পালামৌয়ে এদিন এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন গাদকারি। সেখানে তিনি বলেন, ‘কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা খারিজ করে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার দেশকে গর্বিত করেছে। কারণ জম্মু ও কাশ্মীর যে বিশেষ মর্যাদা ভোগ করত, তা দেশের একতার প্রশ্নে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। স্বাধীনতার সময় থেকেই জনসঙ্ঘ ও বিজেপির ঘোষিত এজেন্ডা ছিল ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা খারিজ করা। ভোট হারানোর ভয়ে পূর্বতন কংগ্রেস সরকারগুলি তা খারিজ করতে চায়নি।’