বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করছেন, পার্শ্ববর্তী পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানার কৃষকেরা ফসলের আগাছা পোড়াচ্ছেন বলেই দিল্লি এবং সংলগ্ন এনসিআরে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ ছড়াচ্ছে। আজ দিল্লিতেও আগাছা পোড়ানো কথা বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর এই ইস্যুতে কেজরিওয়ালকে কিছুটা বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। দূষণ ইস্যুতে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী কৈলাস চৌধুরি। এদিন রাজ্যসভায় তিনি বলেছেন, ‘দূষণ নিয়ে দিল্লি সরকার মাত্রাতিরিক্ত উত্তেজনার সৃষ্টি করছে। রাজনৈতিক কারণে এই কাজ করা হচ্ছে। গরিব কৃষকদের অযথা দোষারোপ করে তাঁদের জেলে পাঠানো অর্থহীন। যদিও এটি সংশ্লিষ্ট রাজ্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’
এদিন লোকসভায় জবাবি ভাষণে জাভরেকর বলেছেন, ‘রিপোর্ট অনুসারে একজন সাধারণ মানুষ সারা জীবনে যে পরিমাণ নিঃশ্বাস নেন, তা সাতটি গাছ থেকে নির্গত অক্সিজেনের সমান। ফলে একজন মানুষকে অন্তত সাতটি গাছ পোঁতার নীতি নিতে হবে। নিজের অক্সিজেন ব্যাঙ্ক তৈরির দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে। একেবারে স্কুলে পড়ার সময় থেকেই এই অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।’ এই ইস্যুতে স্কুল-নার্সারি তৈরির চিন্তাভাবনাও কেন্দ্র করছে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। এদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে সার্বিকভাবে দিল্লির দূষণ পরিস্থিতি অস্বাস্থ্যকরই ছিল। যেমন আজ সন্ধ্যা ৬টায় দিল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে বাতাসে দূষণ পরিমাপকারী এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (একিউআই) মান ২৩২। দিল্লির মন্দির মার্গ এলাকায় একিউআই ১৯৩। লোধি রোডে ১৫৯। আর কে পুরম এলাকায় ১৯২। দিল্লির আনন্দ বিহার এলাকায় এই একিউআইয়ের মান সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৯৮।