বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ঘটনার সূত্রপাত এদিন জিরো আওয়ারে। বক্তব্য রাখতে উঠে বিজেপির বিজয় গোয়েল অভিযোগ করেন দিল্লিতে খারাপ মানের জল সরবরাহ হওয়ায় বিপদ বাড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে উচ্চস্বরে এর প্রতিবাদ জানান আম আদমি পার্টির (আপ) সঞ্জয় সিং। কারওর বক্তব্য পেশের সময় আপত্তি জানানোয় আপ সাংসদের বক্তব্য রাজ্যসভার রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান নাইডু। সঞ্জয় সিংকে বসার জন্য অনুরোধ করে তিনি আরও বলেন, ‘কোনও ব্যক্তি বা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়নি।’ তাতেও নিরস্ত করা যায়নি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলের সংসদ সদস্যকে। তিনি বিজয় গোয়েলের তোলা অভিযোগে প্রতিবাদ জানাতেই থাকেন। এতে আরও ক্ষুব্ধ হন বেঙ্কাইয়া। সঞ্জয় সিংয়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি কি মন্ত্রী যে ওঁর অভিযোগের জবাব দিচ্ছেন?’ পাশাপাশি বিজয় গোয়েলকেও সাবধান করেন তিনি। সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতেই এই অভিযোগে তুলছিলেন বিজেপি সাংসদ। নাইডু তাঁকে মনে করিয়ে দেন, সংবাদপত্রে প্রকাশিত কোনও খবর বা বায়ু শোধনযন্ত্র, জলের বোতল বা দূষণ মাস্ক সংসদে দেখানো একেবারেই নিয়মবিরুদ্ধ। বৃহস্পতিবার দিল্লির দূষণ নিয়ে হওয়া আলোচনায় সংবাদপত্রের একটি খবর দেখিয়েছিলেন বিজয় গোয়েল।
এদিন জিরো আওয়ারে বিজেপি সাংসদ আরও বলেন, দিল্লিতে সরবরাহ হওয়া জলের মান খারাপ হওয়ায় অধিকাংশ বাড়িতে হয় রিভার্স অসমোসিস (আরও) ফিল্টার ব্যবহার করা হয়। রাজধানীতে প্রতিদিন ৩৮ হাজার লক্ষ লিটার জল প্রয়োজন। কিন্তু পর্যাপ্ত জল না পাওয়ায় কুয়োর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন নাগরিকরা। পাইপলাইন থেকে ৪০ শতাংশ জল হয় ছিদ্র দিয়ে বেরিয়ে অথবা চুরি হয়ে নষ্ট হয়। সম্প্রতি প্রকাশিত ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (বিআইএস) রিপোর্টে গুণমান পরীক্ষায় দিল্লির জলের নমুনাকে ভারতের ২১টি প্রধান শহরের মধ্যে সবথেকে খারাপ বলে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, আরও সংস্থাগুলিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে জলের গুণমানের রিপোর্টে কারচুপির অভিযোগ করেছে আপ। সংস্থাগুলির সঙ্গে কেন্দ্রীয় ক্রেতা বিষয়ক, খাদ্য ও গণবণ্টনমন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের যোগসাজস নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁর ইস্তফাও দাবি করেছেন দলের জাতীয় মুখপাত্র রাঘব চাড্ডা। রাজ্যসভায় দিল্লির জলের নমুনা পরীক্ষায় দেরি হওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং।