রামনবমী। ঘড়িতে বেলা ১২টা ১ মিনিট। এই ‘মাহেন্দ্রক্ষণের’ অপেক্ষাতেই ছিলেন অযোধ্যার রামমন্দিরের পুরোহিত, সাধু-সন্ত ও ভক্তরা। প্রযুক্তির কাঁধে চেপে সরাসরি রামলালার কপালে তিলক এঁকে দিল নীলরঙের সূর্যরশ্মি। ৫৮ মিলিমিটার দীর্ঘ ওই টিকা স্থায়ী হল দু’-আড়াই মিনিট।
রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে দেশের সব ঘরে এবার পৌঁছে যাবেন জনমোহিনী মমতা। অপেক্ষা শুধু মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’র সরকার গঠনের। বুধবার লোকসভা ভোটের ইস্তাহার প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। নিছক প্রতিশ্রুতি নয়, এই ইস্তাহারকে ‘শপথ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
আপাতত গরমের হাত থেকে নিস্তার নেই! দক্ষিণবঙ্গজুড়ে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে। বরং তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। কাল, শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের আটটি জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর।
বিরোধিতার মানে ‘ডিটেনশন’! বিরোধিতার মানে হেমন্ত সোরেন, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতো আরও অনেক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির জেলবন্দি দশা। ডিটেনশন। এটাই এখন দেশের রাজনৈতিক বাতাবরণ। গণতান্ত্রিক ভারতবর্ষ ক্রমেই বদলে যাচ্ছে ডিটেনশন ক্যাম্পে—এমনটাই মনে করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দিন কয়েক আগেই ১৮০ আসনে মোদিব্রিগেডকে বেঁধে দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। আর এবার ‘গেরুয়া শিবিরের গড়’, খাস উত্তরপ্রদেশে দাঁড়িয়ে তাঁর ঘোষণা, ‘১৫০ পেরবে না বিজেপি।’ আজ বাদে কাল শুরু হচ্ছে মহারণ ’২৪। প্রথম দফার ভোট।
এ শহর দেবী মীনাক্ষীর। দু’পা হাঁটলেই কোনও না কোনও মন্দির। আগামী ২৩ এপ্রিল চিথিরাই উৎসব। তারই প্রস্তুতি চলছে সর্বত্র। এমন এক মন্দিরনগরীই গত পাঁচ বছর ধরে নাস্তিক সিপিএমের দখলে। অঘটন না ঘটলে আগামী পাঁচ বছরও এই মাদুরাই কেন্দ্রে তার অন্যথা হবে না।
অতীতে কংগ্রেস জমানায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা নাকি জানতেনই না ভারতের মানচিত্রের ঠিক কোনখানে ত্রিপুরা! সেই সময় গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে ‘অন্যায়’ হয়েছে। আর তাঁর আমলেই প্রকৃত উন্নয়নের স্বাদ পেয়েছে ত্রিপুরা সহ গোটা উত্তর-পূর্ব।
অসমের বহু মানুষের কাছে এনআরসি এক বিভীষিকার নাম! কোনও পরিবারের চারজনের মধ্যে দু’জনের নাম বাদ গিয়েছে। কোনও ক্ষেত্রে আবার পরিবারের ১০ জন সদস্যের মধ্যে একজনের নাম ওঠেনি এনআরসিতে। সেই থেকে সমানে ভোগান্তি আর হেনস্তার শিকার হয়ে চলেছেন তাঁরা।
দেশের বিপুল জনসংখ্যা যেমন চিন্তার বিষয়। তেমনই এর সুবিধাও রয়েছে। কারণ কাজের হাত প্রচুর। কিন্তু জনসংখ্যার সেই সুবিধা কাজে লাগাতে পারছে না ভারত। এমনই আক্ষেপ করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন।
তাঁকে ‘মৌনীবাবা’ বলে বহুবার কটাক্ষ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। যদিও সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এবার সেই মনমোহন সিংকেই প্রশংসায় ভরিয়ে দিল মোদি সরকার।
‘যাঁরা মনে করেন মোদি ও যোগীর থেকেও বড় কেউ আছেন, তাঁরা বিশ্বাসঘাতক’— দলীয় প্রার্থীর এই বিতর্কিত মন্তব্যে প্রবল অস্বস্তিতে বিজেপি। বুধবার নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে এই মন্তব্য করেছেন নয়ডা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ মহেশ শর্মা।
হেমন্ত সোরেনের অর্থ তছরুপ মামলায় আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ধৃতদের নাম অন্তু তিরকে, প্রিয়রঞ্জন সহায়, বিপিন সিং ও ইরশাদ। আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের ধারায় ওই চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মোদি সরকার বারবার দাবি করে এসেছে, আয়কর দপ্তর সাধারণ করদাতাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করবে। সাধারণ মানুষ যাতে স্বেচ্ছায় কর দেন, তার জন্য যা যা করণীয়, তা করবে সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস (সিবিডিটি)।
পিছনে লেগে রয়েছে ইডি। চীনা ভিসা দুর্নীতি মামলায় ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে চার্জশিটও জমা পড়েছে আদালতে। রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সমালোচনা করায় না-খুশ স্থানীয় নেতৃত্ব। তাঁর বিরুদ্ধে প্রস্তাবও পাশ হয়েছে তামিলনাড়ু প্রদেশ কংগ্রেসের শিবগঙ্গা ইউনিটে।
রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
দিব্যেন্দু বিশ্বাস, নয়াদিল্লি, ২২ নভেম্বর: ‘রেলের বেসরকারিকরণ হচ্ছে না।’ আজ সংসদে এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। এদিন রাজ্যসভায় রেলমন্ত্রী বলেছেন, ‘রেলের বেসরকারিকরণের কোনও পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় সরকারের নেই। শুধুমাত্র যাত্রীরা যাতে আরও স্বাচ্ছন্দ্যে ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারেন, সেই কথা মাথায় রেখে কিছু অন-বোর্ড পরিষেবা এবং কয়েকটি বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থাকে কাজে লাগানো হচ্ছে মাত্র। এর সঙ্গে বেসরকারিকরণের সম্পর্ক নেই।’ এই প্রসঙ্গেই এদিন রেলের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুরেশ অঙ্গারি জানিয়েছেন, ‘কয়েকটি ক্ষেত্রে বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থাকে কাজে লাগানো হলেও এর ফলে রেলের বর্তমান কর্মীদের উপর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা নেই। বরং এহেন ব্যবস্থায় রেলে আরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।’
তবে মুখে আরও ভালো যাত্রী পরিষেবার কথা বললেও লোকসভায় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল লিখিতভাবে জানিয়েছেন, প্রাইভেট তেজসের মতো রাজধানী, শতাব্দীর মতো প্রিমিয়াম এবং অন্য দূরপাল্লার মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন দেরিতে চললেও সেগুলির যাত্রীকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না। এরকম কোনও পরিকল্পনা রেলমন্ত্রকের নেই। গত মাসে দিল্লি-লখনউ রুটে যে আইআরসিটিসি পরিচালিত তেজস এক্সপ্রেস যাত্রা শুরু করেছে, সেখানে ‘লেটে’র কারণে যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু করেছে রেলমন্ত্রক।
এদিন রাজ্যসভায় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, ‘রেলের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য আগামী ১২ বছরে প্রায় ৫০ লক্ষ কোটি টাকা অর্থ প্রয়োজন। প্রতিদিন কোনও না কোনও সংসদ সদস্য তাঁর এলাকায় রেলওয়ে সংক্রান্ত কোনও দাবিদাওয়া নিয়ে হাজির হচ্ছেন। আরও বেশি ভালো যাত্রী পরিষেবা দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে যদি বেসরকারি সংস্থাকে কাজে (আউটসোর্সিং) লাগানো যায়, তাহলে তার মধ্যে সমস্যা কোথায়? তবে ভারতীয় রেল বেসরকারি হাতে যাবে না।’ এই প্রসঙ্গেই রেলের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুরেশ অঙ্গারি বলেছেন, ‘কিছু অন-বোর্ড এবং বাণিজ্যিক পরিষেবা দেওয়ার জন্য যেসব বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থাগুলি আবেদন করে, তাদের কাজকর্ম খতিয়ে দেখে আমা লাইসেন্স দিই শুধু।’
অন্যদিকে আইআরসিটিসি তেজসের মতো অন্যান্য ট্রেনেও লেটের কারণে যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রসঙ্গে লোকসভায় লিখিতভাবে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন, ‘এরকম কোনও পরিকল্পনা রেলের নেই। এই মুহূর্তে রেলের নিয়ম অনুসারে শতাব্দী, রাজধানী এবং অন্য সুপারফাস্ট ট্রেন যদি তিন ঘণ্টারও বেশি লেটে চলে, তাহলে কোনও যাত্রী ওই ট্রেনে সফর না করলে রিফান্ড নীতি মেনে তাঁকে ভাড়ার টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়।’ তবে এক্ষেত্রে যাত্রী ওই ট্রেনে ভ্রমণ
করতে না পারার অর্থ এই নয়, তিনি নির্দিষ্ট টিকিট বাতিল করেছেন। বৈধ টিকিট থাকা সত্ত্বেও কোনও কারণে যাত্রী ট্রেনে চাপতে পারেননি, একমাত্র এক্ষেত্রেও শর্তসাপেক্ষে তাঁকে টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। আইআরসিটিসি পরিচালিত তেজস এক্সপ্রেস যদি এক ঘণ্টার বেশি দেরিতে চলে, তাহলে সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের ১০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলমন্ত্রক। দু’ঘণ্টার বেশি দেরিতে যাত্রীপিছু এই ক্ষতির পরিমাণ ২৫০ টাকা।
তবে মুখে আরও ভালো যাত্রী পরিষেবার কথা বললেও লোকসভায় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল লিখিতভাবে জানিয়েছেন, প্রাইভেট তেজসের মতো রাজধানী, শতাব্দীর মতো প্রিমিয়াম এবং অন্য দূরপাল্লার মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন দেরিতে চললেও সেগুলির যাত্রীকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না। এরকম কোনও পরিকল্পনা রেলমন্ত্রকের নেই। গত মাসে দিল্লি-লখনউ রুটে যে আইআরসিটিসি পরিচালিত তেজস এক্সপ্রেস যাত্রা শুরু করেছে, সেখানে ‘লেটে’র কারণে যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু করেছে রেলমন্ত্রক।
এদিন রাজ্যসভায় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, ‘রেলের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য আগামী ১২ বছরে প্রায় ৫০ লক্ষ কোটি টাকা অর্থ প্রয়োজন। প্রতিদিন কোনও না কোনও সংসদ সদস্য তাঁর এলাকায় রেলওয়ে সংক্রান্ত কোনও দাবিদাওয়া নিয়ে হাজির হচ্ছেন। আরও বেশি ভালো যাত্রী পরিষেবা দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে যদি বেসরকারি সংস্থাকে কাজে (আউটসোর্সিং) লাগানো যায়, তাহলে তার মধ্যে সমস্যা কোথায়? তবে ভারতীয় রেল বেসরকারি হাতে যাবে না।’ এই প্রসঙ্গেই রেলের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুরেশ অঙ্গারি বলেছেন, ‘কিছু অন-বোর্ড এবং বাণিজ্যিক পরিষেবা দেওয়ার জন্য যেসব বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থাগুলি আবেদন করে, তাদের কাজকর্ম খতিয়ে দেখে আমা লাইসেন্স দিই শুধু।’
অন্যদিকে আইআরসিটিসি তেজসের মতো অন্যান্য ট্রেনেও লেটের কারণে যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রসঙ্গে লোকসভায় লিখিতভাবে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন, ‘এরকম কোনও পরিকল্পনা রেলের নেই। এই মুহূর্তে রেলের নিয়ম অনুসারে শতাব্দী, রাজধানী এবং অন্য সুপারফাস্ট ট্রেন যদি তিন ঘণ্টারও বেশি লেটে চলে, তাহলে কোনও যাত্রী ওই ট্রেনে সফর না করলে রিফান্ড নীতি মেনে তাঁকে ভাড়ার টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়।’ তবে এক্ষেত্রে যাত্রী ওই ট্রেনে ভ্রমণ
করতে না পারার অর্থ এই নয়, তিনি নির্দিষ্ট টিকিট বাতিল করেছেন। বৈধ টিকিট থাকা সত্ত্বেও কোনও কারণে যাত্রী ট্রেনে চাপতে পারেননি, একমাত্র এক্ষেত্রেও শর্তসাপেক্ষে তাঁকে টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। আইআরসিটিসি পরিচালিত তেজস এক্সপ্রেস যদি এক ঘণ্টার বেশি দেরিতে চলে, তাহলে সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের ১০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলমন্ত্রক। দু’ঘণ্টার বেশি দেরিতে যাত্রীপিছু এই ক্ষতির পরিমাণ ২৫০ টাকা।
