কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন লোকসভার জিরো আওয়ারে বিজেপির হুগলির সংসদ সদস্য লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৫০ হাজার প্যারাটিচার রয়েছেন। কিন্তু তাঁরা প্রত্যেকে অর্থনৈতিক সঙ্কটে ভুগছেন। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার প্যারাটিচারদের জন্য যে বরাদ্দ অর্থ পাঠাচ্ছে, তা ঠিকভাবে তাঁদের দিচ্ছেই না রাজ্য। প্রতিবাদে গত কয়েকদিন ধরে হাজার খানেক প্যারাটিচার রাজ্যে অনশন আন্দোলন করছেন। তাঁদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। আর্থিক সঙ্কটে জেরবার হয়ে গত দু’বছরে রাজ্যে কয়েকজন প্যারাটিচারের মৃত্যুও হয়েছে।’ বাংলার ওই বিজেপি এমপির অভিযোগ, শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে রাজ্য সরকার। যার ফলে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎকেও অন্ধকারের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যেরই তীব্র প্রতিবাদ জানাতে থাকেন তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্যরা।
প্রবল হট্টগোলের মধ্যেই বিজেপির বিষ্ণুপুরের এমপি সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘গতকাল লোকসভায় চিটফান্ড সংশোধনী বিল পাস হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে লটারির ব্যবসা চালু করে গরিবদের কাছ থেকে টাকা লুঠ করার পরিকল্পনা করেছে। প্রায় ৩০০ কোটি টাকার লটারি কোম্পানির কাজকর্ম চলছে রাজ্যে। গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ লুঠের চক্রান্ত করছে তৃণমূল কংগ্রেস।’ অন্যদিকে এদিনই লোকসভার জিরো আওয়ারে বাংলার বন্ধ জুটমিলের প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলেন বারাকপুরের বিজেপি এমপি অর্জুন সিং। তিনি বলেন, ‘রাজ্যের যেসমস্ত জুটমিল বন্ধ রয়েছে, তার অন্তত ৬৬ শতাংশ জমি বিক্রি করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। ৩৩ শতাংশ জমিকে মর্জিমাফিক দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ সংশ্লিষ্ট আইন অনুসারে শিল্পাঞ্চলের জমির হস্তান্তর প্রক্রিয়া কার্যত সম্ভব নয়। আমার লোকসভা কেন্দ্রেই তিনটি জুটমিল রয়েছে। সেগুলির অবস্থাও অত্যন্ত সঙ্গীন।’ এই পরিস্থিতিতে ওই বিজেপি এমপির আর্জি, রাজ্যের বন্ধ জুটমিলগুলিকে নিলাম করার ব্যবস্থা করুক কেন্দ্রীয় সরকার। তারপর ফের সেগুলি চালু করা হোক।