উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, এটা অত্যন্ত কার্যকর সিদ্ধান্ত। কেননা, দক্ষিণ ভারতের বহু এমপি নিজেদের মাতৃভাষায় সংসদে বক্তব্য রাখেন। একইরকমভাবে রাজ্যের এমপি’রা বাংলাতে এলাকার সমস্যা কিংবা অন্যান্য বিষয়ে মতামত তুলে ধরলে পশ্চিমবঙ্গবাসী হিসেবে গর্ব অনুভব করব। শুধু তাই নয়, লোকসভা-রাজ্যসভা টিভিতে সরাসরি তা সম্প্রচার হওয়ায় রাজ্যের দূরবর্তী এলাকার মানুষও তা দেখতে পাবেন। নিজেদের বক্তব্য জনপ্রতিনিধির মুখে সংসদে পেশ হওয়া চাক্ষুষ করতে পেরে এলাকাবাসী নিজেদের ভোটদানের গুরুত্বও অনুভব করতে পারবেন। সবমিলিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সায়ন্তন বসু। এ প্রসঙ্গে দলের এক এমপি বলেন, আমাদের মধ্যে অনেকেই প্রথমবার লোকসভার প্রতিনিধি হয়ে এসেছেন। ফলে সংসদীয় রীতি-নীতি বুঝতেই একটু সময় লাগছে। তার উপর সর্বভারতীয়স্তরে মাতৃভাষার বাইরে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়েছেন। বিষয়টি অনুধাবন করে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বাংলাতেই বক্তব্য পেশের অনুমোদন দিয়েছেন।
সূত্রের দাবি, লোকসভা কিংবা রাজ্যসভায় আঞ্চলিক ভাষার এমপি বক্তব্য রাখলেও উপস্থিত জনপ্রতিধিদের কানে লাগানো হেড ফোনের মাধ্যমে তা হিন্দি কিংবা ইংরেজিতে অনুবাদ হয়ে চলে আসে। ফলে ভাষাগত সমস্যা হওয়ার বিশেষ কারণ নেই। এই সিদ্ধান্তের জেরে বাঙালি হিসেবে আত্মমর্যাদা বোধ বৃদ্ধি হচ্ছে বলেও দাবি গেরুয়া শিবিরের। কারণ, রাষ্ট্রসঙ্ঘ কিংবা এ ধরনের আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অবলীলায় হিন্দিতে ভাষণ দেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী একইভাবে বাংলা ভাষাতেই সমস্ত আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করেন। তাই বাংলার এমপি’দের নিজেদের মাতৃভাষায় সংসদে বক্তব্য রাখার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত কার্যকর হবে বলেও মনে করা হচ্ছে।