পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গত ২১ অক্টোবর মহারাষ্ট্র বিধানসভার ফল ঘোষণার পর থেকেই বিজেপি এবং শিবসেনার সম্পর্কে অবনতি ঘটতে শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী পদের মেয়াদ নিয়ে মতান্তরের জেরে বিজেপি-শিবসেনা জোট ভেঙে যায়। এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে সখ্য বাড়াতে শুরু করেছে শিবসেনা। শিবসেনা এবং এনসিপির বোঝাপড়ার প্রভাব পড়েছে কোলাপুর পুরসভার ভোটে। মঙ্গলবার এই পুরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন এনসিপির সুরমঞ্জরী লটকর। ডেপুটি মেয়র হয়েছেন কগ্রেসের সঞ্জয় মোহিত। ভোটাভুটির সময় শিবসেনার ৪ কাউন্সিলার অনুপস্থিত ছিলেন।
বেশ কয়েকটি পুরসভায় আবার কাউন্সিলার সংখ্যা প্রায় তুল্যমূল্য। যেমন নাসিক পুরসভা। এখানে বিজেপির ৬৫ জন, শিবসেনার ৩৪ জন, এনসিপি এবং কংগ্রেসের ৬ জন করে কাউন্সিলার রয়েছেন। এছাড়াও রয়েছেন এমএনএসের ৫ এবং ৩ জন নির্দল বিধায়ক। দু’জন কাউন্সিলার বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ায় নাসিক পুরসভার আসন দাঁড়িয়েছে ১২০। অর্থাৎ ৬১ জন কাউন্সিলারের সমর্থন জোগাড় করতে পারলেই যে কেউ এই পুরসভা ছিনিয়ে নিতে পারে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে ঘোড়া কেনাবেচার সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে। ঘোড়া কেনাবেচা রুখতে সতর্ক প্রত্যেক দলই তাদের কাউন্সিলারদের শহরের বাইরে আলাদা আলাদা জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করেছে বলে সূত্রের খবর। ১১৩ সদস্যের ঔরঙ্গাবাদ পুরসভায় আবার বিজেপি এবং শিবসেনার শক্তি প্রায় সমান। শিবসেনার রয়েছে ২৯ জন কাউন্সিলার এবং বিজেপির রয়েছে ২২ জন। এছাড়া এআইএমআইএমের ২৫ জন ও কংগ্রেসের ৮, এনসিপির ৪ এবং অন্যান্যদের ২৪ জন কাউন্সিলার রয়েছে। এখন এই পুরসভার মেয়র পদ রয়েছে শিবসেনার দখলে। বিজেপি শিবসেনা ছাড়াছাড়ি হওয়ার পরে এই পুরসভা কার দখলে যাবে, তা নিয়ে জল্পনা সব মহলে।