কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গত ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যহারের পর শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতাকে হয় গৃহবন্দি বা হোটেলে আটক করা হয়। তাঁদের মধ্যে ৩০ জনকে ডাল লেকের কাছের একটি হোটেলে রাখা হয়েছিল। পরে শ্রীনগরের বিধায়ক হোস্টেলে স্থানান্তর করা হয়। যা বর্তমানে ‘নতুন সরকারি ভর্তুকিযুক্ত জেল’ নামে পরিচিত হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মন্ত্রী পিডিপি নেতা নইম আখতারের মেয়ে শেহরিয়ার খানুম অভিযোগ করেন, ‘এটি একটি পরিত্যক্ত বিল্ডিং। ন্যূনতম পরিষেবাটুকু নেই। বন্দি নেতাদের জন্য পরিচ্ছন্ন পরিবেশ থাকা দরকার। পর্যাপ্ত আলো নেই, ঘর গরম রাখার মেশিং নেই। সরকারের উপর আস্থা নেই। আমরা নিজেরাই এইসব ব্যবস্থা করতে পারি।’ আর এক পিডিপি নেতা সরতাজ মাদনির ছেলে সাকিব মাদনি ‘অকারণে হেনস্তা’র অভিযোগ করেন। তিনি জানান, ‘আমাদের বিনা কারণে হেনস্তা করা হয়েছে। নেতাদের জেলে রাখা হয়েছে, আমরা এটা মেনে নিয়েছি। কিন্তু আমাদের সঙ্গে কেন এমন ব্যবহার? গাড়ি ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এখানে সামান্যতম পরিষেবা নেই। আমরা বাড়ি থেকে কিছু জিনিসপত্র এনেছিলাম। কিন্তু ভিতরে নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি।’ তাঁর মতে, সরকারের উচিত অন্যান্য অনেকের মতো এই নেতাদেরও গৃহবন্দি করা হোক। আর তা না পারলে জম্মুর বিধায়ক হোস্টেলে রাখার ব্যবস্থা করুক সরকার। সেখানে অবস্থা কিছুটা ভালো। যদি তাও না হয়, তাহলে সেন্ট্রাল জেলে রাখলে অনেক ভালো থাকবেন বন্দি নেতারা। কয়েকটি নেতার পরিবার খাবারের গুণমান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। শ্রীনগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ডেপুটি মেয়র শেখ ইমরানের বাবা শেখ মুস্তাক আহমেদ বলেছেন, ‘অস্বাস্থ্যকর খাবার দেওয়া হচ্ছে। ঘর ভালো নয়। ঘরে ঠিকঠাক মাদুর পর্যন্ত নেই। একজন নির্বাচিত প্রতিনিধির সঙ্গে এই ধরনের ব্যবহার মোটেই কাম্য নয়।’