কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মলয়বাবু বলেন, এবার ঝাড়খণ্ডের এনডিএ ভেঙে গিয়েছে। প্রতিটি আসনেই বহুমুখী লড়াই। সেক্ষেত্রে তৃণমূলেরও যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা কমপক্ষে ৪০টি আসনে লড়াই করার ব্যাপারে আশাবাদী। অন্যান্য নেতা মন্ত্রীরা তো যাবেনই। প্রচারে যেতে পারেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রীতিমতো জমে উঠেছে ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচন। ক্ষমতাসীন এনডিএ জোটের শরিক লোক জনশক্তি পার্টি (এলজেপি) ও অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়ন(এজেএসইউ)বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে পৃথকভাবে প্রতি আসনে লড়াই করছে। অন্যদিকে, জোট হয়ে লড়াই করছে কংগ্রেস, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও আরজেডি। আলাদা ভাবে লড়াই করছে বাবুলাল মারান্ডির দল। সঙ্গে ভোটযুদ্ধে নেমেছে তৃণমূলও। তাই ৮১ আসনের বিধানসভা নির্বাচন শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে। ভোট কাটাকাটির খেলায় কোন দল কিস্তিমাত করে সেই দিকেই তাকিয়ে রাজ্য তথা দেশের রাজনৈতিক মহল। আর এখানেই নিজেদের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে বলে মত তৃণমূল নেতৃত্বের। কারণ, জয়ের পাশাপাশি বহু আসনে ভোট কেটে যদি বিজেপিকে কুপোকাত করতে সহায়ক হয় তৃণমূল তাহলে দেশের রাজনীতিতে যেমন তাদের গুরুত্ব বাড়বে, তেমনই বিজেপির কাছ থেকে ঝাড়খণ্ড হাতছাড়া হলে ২০২১ সালের বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের বাড়তি অক্সিজেন পাবে তৃণমূল। আর তাই শেষ মুহূর্তে রণকৌশল সাজানোর কাজ চলছে। বাবুলাল মারান্ডির দলের সঙ্গে ভোটের আগে আসন সমঝোতা না হলেও ভোটে এবার বিজেপি কম আসন পেলে এবং মহারাষ্ট্রের মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে তৃণমূল যে বিরোধী জোটের সূত্রধরের কাজ করবে তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। আর নানা কারণে ঝাড়খণ্ডের শাসক শিবিরে ভাঙন ধরায় অন্য বিরোধীদের মতো ঘর গোছাচ্ছে তৃণমূলও। তৃণমূলের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা রয়েছে বাম সরকার হটানোর সময়ে যেভাবে রাজ্যে জমি আন্দোলন আলাদা মাত্রা পেয়েছিল, তেমনই ঝাড়খণ্ডেও বিভিন্ন এলাকায় উচ্ছেদ নিয়ে চাপা উত্তেজনা রয়েছে।
তৃণমূলের আশা, জমি আন্দোলনের নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে বিকল্প হিসেবে বেছে নেবেন তাঁরা। তাঁদের প্রাথমিক লক্ষ্য, মোট আসনের মধ্যে অর্ধেক আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাসফুল প্রতীক দিয়ে প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করানো। ইতিমধ্যেই প্রথম তিনদফায় ১৮ জনের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে তারা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিনের বৈঠক হাজির ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ডের একদা দাপুটে কংগ্রেস নেতা সুবোধকান্ত সহায়। তবে ঝাড়খণ্ডে বসে শুধু রণকৌশল নির্ধারণ করাই নয়, রাজ্যের মন্ত্রী নেতাদের নিয়ে গিয়ে প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে ঘাসফুল শিবির।
মলয়বাবুর দাবি, ঝাড়খণ্ডে প্রচার করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, শান্তিরাম মাহাত। এমনকী আসার সম্ভাবনা রয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।