পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কালো টাকা সাদা করার প্রক্রিয়া কীভাবে চলত, এই নিয়ে ধৃতদের দীর্ঘ জেরা করেন সিজিএসটি’র অফিসাররা। তাঁরা জেনেছেন, ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করেই এই কাজ করা হচ্ছিল। রাখা হয়েছিল একাধিক এজেন্ট। যাঁদের সামনে রেখেই গোটা কারবার চালানো হতো। এরজন্য বিভিন্ন ব্যাঙ্কে অসংখ্য ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। ঘুরপথে টাকা বাইরে নিয়ে আসার জন্যই এই কৌশল। ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলার সময় অন্যের নথি জমা দেওয়া হয়। যে অসাধু কারবারিরা কালো টাকা সাদা করতে চান, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন এজেন্টরা। তারপর এই সমস্ত কাগুজে কোম্পানির নাম করে চেক কাটা হতো। চলত ভুয়ো লেনদেন। সেই টাকা একাধিক কোম্পানি ঘুরে নগদে ফেরত আসত মালিকের কাছে। তবে এরজন্য নিদিষ্ট অঙ্কের চার্জ দিতে হতো। আধিকারিকদের কাছে খবর, চেকের মাধ্যমে ১০০ টাকা সাদা করতে কমিশন দিতে হতো ৩০ টাকা। গোটা প্রক্রিয়ায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের একাংশের ভূমিকা রয়েছে বলে তাঁরা জানতে পারছেন। কীভাবে, কোথায় কোম্পানি খুলতে হবে এবং কী ধরনের লেনদেন দেখানো হবে, সবটাই তাঁদের মস্তিষ্কপ্রসূত। এক্ষেত্রে বেশ কয়েকজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের ভূমিকা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের ভূমিকাও যাচাই করে দেখা হচ্ছে। কারণ তাঁদের একাংশের সহযোগিতা ছাড়া এই কাজ করা সম্ভব হতো না বলে অফিসাররা মনে করছেন।
জিএসটিতে জালিয়াতির জন্য যে ভুয়ো ‘ইনভয়েস’ বা চালান দেওয়া হতো, তারজন্যও কমিশন ছিল। কী পরিমাণ জিএসটি দেখানো হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করত কমিশনের অঙ্ক। আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, ৫ শতাংশ হারে জিএসটির ক্ষেত্রে কমিশনের পরিমাণ ছিল দেড় থেকে দু’ টাকা। ১২ শতাংশের ক্ষেত্রে তিন থেকে সাড়ে তিন টাকা এবং ১৮ শতাংশের ভুয়ো চালানের ক্ষেত্রে কমিশন নেওয়া হতো চার থেকে সাড়ে চার টাকা। এই কমিশনের পুরোটাই লেনদেন হতো নগদে। জানা যাচ্ছে, কলকাতার একাধিক কোম্পানি ধৃতদের কাছ থেকে কমিশনের বিনিময়ে ভুয়ো চালান নিয়েছে। সেই নাম ইতিমধ্যেই হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। প্রয়োজনে তাঁদের জেরার জন্য ডাকা হতে পারে বলে খবর।