নয়াদিল্লি, ১৮ নভেম্বর: জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যহারের পর তিন মাস অতিক্রান্ত। এই তিন মাসে ১৩৫ জঙ্গি উপত্যকায় ঢুকেছে বলে সোমবার রিপোর্ট দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১৪৫। কেন্দ্রের দাবি, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যহার করে নেওয়ার পর থেকেই জঙ্গি অনুপ্রবেশের হার বেড়েছে। এর থেকে স্পষ্ট, জম্মু-কাশ্মীরকে অশান্ত করতে পাকিস্তানের তৎপরতা বাড়ছে। গোয়েন্দা দপ্তরের এক আধিকারিকের মত, মে এবং জুলাই মাসের মধ্যে জঙ্গি অনুপ্রবেশ অনেকটাই হ্রাস পেয়েছিল। কিন্তু ৫ আগস্টের পর থেকে ফের সক্রিয় হয়েছে জঙ্গিরা। ইতিমধ্যেই ভারত-পাক সীমান্তে অবস্থিত ২৫টি অনুপ্রবেশের রাস্তা চিহ্নিত করে ফেলেছে নিরাপত্তা বাহিনী। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনুপ্রবেশ রোখা সম্ভব হচ্ছে না। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, অনুপ্রবেশের নতুন রাস্তা বের করে ফেলেছে জঙ্গিরা। এত জঙ্গি দেশে ঢুকলেও তারা এখনও পর্যন্ত বড় কোনও হামলা করেনি। যেহেতু জম্মু-কাশ্মীরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকায় জঙ্গিদের গতিবিধি অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত।
গত সপ্তাহেই খালিদ ওরফে জেবরান নামের এক লস্কর জঙ্গি পুলিসের গুলিতে খতম হয়। গত বছর স্থানীয় এবং পাকিস্তান মিলিয়ে ২৫৭-এর বেশি জঙ্গি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারায় বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দাবি। এছাড়া, ৩২৮টি অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়েছে। যার অর্ধেকের বেশি চেষ্টাকে ব্যর্থ করতে সক্ষম হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। জম্মু-কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিং জানিয়েছেন, জঙ্গি অনুপ্রবেশের পাশাপাশি স্থানীয়দের বিভিন্নভাবে প্ররোচিত করার চেষ্টা করছে পাকিস্তান। উত্তেজনা বাড়িয়ে ভয়-সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চলছে। এদিকে, সোমবার বেলা ৪টে ১৫ মিনিট নাগাদ জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার সুন্দরবনি সেক্টরে ফের সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান।