কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সাধারণত, আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসেই বিদেশ থেকে অধিকাংশ রপ্তানির অর্ডার আসে শিল্পী এবং ব্যবসায়ীদের কাছে। এবার নভেম্বরের মাঝামাঝিতে এসেও কোনও ব্যস্ততা নেই তাঁদের মধ্যে। কাশ্মীর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট শেখ আশিক আহমদ জানিয়েছেন, ‘আমরা বিদেশ থেকে অধিকাংশ বরাত পাই জুলাই, আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসে। বিদেশে ক্রিসমাসের সময় বিক্রির জন্য এই বরাত দেওয়া হয়। কিন্তু, এখন ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় সেই বিদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না রপ্তানিকারীরা।’ হোয়াটসঅ্যাপেই বেশিরভাগ বরাত আসার বিষয়টিও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তাঁর মতে, ‘হস্তশিল্পের ছবি ও ভিডিও এর মাধ্যমেই ক্রেতার কাছে পাঠান শিল্পী-ব্যবসায়ীরা। দুর্ভাগ্যবশত, এখানে আর তা করা যাচ্ছে না। যে কারণে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের।’ কাশ্মীর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কাশ্মীর থেকে প্রতিবছর গড়ে ২ হাজার কোটি টাকার হস্তশিল্প রপ্তানি হয়।
শুধু তাই নয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদেশি ব্যবসায়ীরাও কাশ্মীরের হস্তশিল্প কেনার ব্যাপারে অনিচ্ছা প্রকাশ করছেন। শেখ আশিকের আরও অভিযোগ, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নয়াদিল্লি গিয়ে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু তারপরেও বরাত দিতে চাননি বিদেশি ব্যবসায়ীরা। কাশ্মীরের পরিস্থিতি সম্পর্কে পড়ে বা শুনে তাঁদের মধ্যে এই অনীহা তৈরি হয়েছে। তাঁরা ভয় পাচ্ছেন যে ক্রিসমাসের মধ্যে বরাত দেওয়া পণ্য শেষ হবে না। সেই কারণেই অন্যান্য জায়গায় বরাত দিচ্ছেন বিদেশি ব্যবসায়ীরা।
বর্তমান পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন কার্পেট রপ্তানিকারী ইমতিয়াজ আহমদ। গত ৫ আগস্ট থেকেই উপত্যকার সামগ্রিক ব্যবসায় মন্দা চলছে। হস্তশিল্পও খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। একে জিএসটির বোঝা ঘাড়ে চেপেছে। হস্তশিল্পের উপর থেকে জিএসটি তুলে নেওয়ার দাবিকে পাত্তা দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। এর উপর নিষেধাজ্ঞা, মোবাইল-ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। গত দু’মাস ধরে ব্যবসা করতে পারিনি।’ ১০০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। এবার এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চাইছেন তাঁরা।