কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন সবচেয়ে অশান্ত দক্ষিণ কাশ্মীরেও ট্রায়াল রান চালানো হয়। তবে তার আগে ভালো করে ওই রুটের সুরক্ষা খতিয়ে দেখা হয় বলে জানিয়েছেন রেলের এক আধিকারিক। তিনি জানান, আজকের ট্রায়াল রান সফল হওয়ায় আগামীকাল থেকে কাশ্মীরের রেল পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। ৩৭০ বাতিল হওয়ার সময় গত ৩ আগস্ট থেকে উপত্যকার রেল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর গত মঙ্গলবার শ্রীনগর-বারামুলা রুটে আংশিক ভাবে পরিষেবা চালু হয়।
এদিকে, ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরতে শুরু করা কাশ্মীরে স্কুল-কলেজে পঠন-পাঠন শুরু হয়েছে। শনিবার থেকে অনেক ক্লাসেই বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রশাসনের এক কর্তা জানান, এখন পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সোমবার থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও গত কয়েকদিনের ভারী তুষারপাতের কারণে দু’টি পেপারের পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় প্রশাসন বলে জানান ওই কর্তা। তবে, প্রি-পেড মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবা এখনও বন্ধই রয়েছে উপত্যকায়।
দোকান-পাট আগের নিয়মেই খুলছে। খুব সকালে খুলে আবার দুপুরের আগেই ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তবে, ব্যক্তিগত গাড়ি এবং অটো-রিক্সা আগের তুলনায় বেশি পরিমাণে রাস্তায় দেখা যাচ্ছে। কয়েকটি রুটে মিনিবাস পরিষেবাও চালু হয়েছে। তিনদিন আগে রাম্বান জেলায় প্রবল ভূমিধস নেমে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক। শনিবারও সেই সড়ক বন্ধই ছিল। ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে রাস্তা পরিষ্কার করা সম্ভব না হওয়ায় গাড়ি চলাচল শুরু করা যায়নি। ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তা বন্ধ থাকার জেরে অত্যাবশকীয় পণ্যে ঠাসা বহু ট্রাক কাশ্মীরে ঢুকতে পারছে না। আটকে পড়েছে প্রচুর ব্যক্তিগত যানবাহনও। আগামী দু’দিন উপত্যকার আবহাওয়া মোটামুটি শুকনোই থাকবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। ফলে দ্রুত রাস্তা পরিষ্কার করে গাড়ি চলাচল শুরু করা যাবে বলেই আশা করছে প্রশাসন।