উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
শনিবার সন্ধ্যা পাঁচটা নাগাদ খুলে দেওয়া হয় সবরীমালার আরাধ্য দেবতা আয়াপ্পা মন্দির। সেইসঙ্গে শুরু হয়ে গেল দীর্ঘ দু’মাসব্যাপী পুণ্যযাত্রা। পুজো ও বিভিন্ন ধর্মীয় আচরণের পর মন্দিরের দরজা খুলে দেন কান্দারারু তথা মুখ্য পুরোহিত মহেশ মোহনারারু। সবরীমালার মেলশান্তি ও মালিকাপুরম মেলশান্তি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এ কে সুধীর নাম্বুদিরি এবং এম এস পরমেশ্বরম নাম্বুদিরি। পুজো ও দর্শনের পর পবিত্র ১৮ টি সিঁড়ি ওঠার অনুমতি দেওয়া হবে পুণ্যার্থীদের।
সেইমতো কেরল ও বিভিন্ন রাজ্য থেকে নীলাচল ও পাম্বা ক্যাম্পে ইতিমধ্যে চলে এসেছেন পুণ্যার্থীরা। সেখান থেকে সবরীমালার উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে কেরল প্রশাসন। সেইমতো বয়স্ক মহিলাদের বয়সের প্রমাণস্বরূপ তাঁদের থেকে পরিচয়পত্র চাইছেন কর্তব্যরত পুলিসকর্মীরা। একইসঙ্গে মা হওয়া সম্ভব এমন বয়সসীমার ১০ মহিলাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। সবরীমালার দিকে এগনোর সময় তাঁদের বলা হয়, ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সি মহিলাদের মন্দিরে ঢুকতে না দেওয়ার জন্য কড়া নির্দেশিকা রয়েছে।
এদিকে, মহিলাদের প্রবেশ নিয়ে বিতর্কের মধ্যে সবরীমালা যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন সমাজকর্মী তৃপ্তি দেশাই। আগামী ২০ নভেম্বর ভগবান আয়াপ্পা দর্শনে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তৃপ্তির কথায়, ‘এর জন্য কেরল সরকারের থেকে নিরাপত্তা চাইব। এরপর প্রশাসন তা দেবে কি দেবে না, তা নির্ভর করছে সরকারের উপর। নিরাপত্তা না দেওয়া হলেও আমি সবরীমালা দর্শন করব।’
এদিকে, সবরীমালা দর্শনে যাওয়া মহিলাদের সরকার কোনও নিরাপত্তা দেবে না বলে শুক্রবারই সাফ জানিয়েছে বামশাসিত এলডিএফ সরকার। দেবস্বমমন্ত্রী কে সুরেন্দ্রন বলেছেন, ‘সমাজকর্মীদের আন্দোলন দেখানোর জায়গা নয় সবরীমালা। অনেকে রয়েছেন, যাঁরা সাংবাদিক বৈঠক ডেকে মন্দিরে প্রবেশের কথা ঘোষণা করেন। ওঁরা শুধু প্রচারের জন্য এটা করছে। সরকার এই প্রবণতাকে সমর্থন করে না।’ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট যেহেতু তার পূর্বের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়নি, তাই সমাজকর্মীদের একাংশ ঘোষণা করেছেন, তাঁরা মন্দিরে প্রবেশ করবেন। এ প্রসঙ্গে দেবস্বমমন্ত্রী বলেন, ‘আদালতের নির্দেশিকায় বেশ কিছু ধোঁয়াশা রয়েছে। এ নিয়ে সরকার আইনি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলবে।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বরে সবরীমালা নিয়ে ঐতিহাসিক রায় শোনায় দেশের শীর্ষ আদালত। ধর্মীয় প্রথাকে দূরে সরিয়ে রেখে মন্দিরে সব বয়সি মহিলাদের প্রবেশের পক্ষে রায় শোনায় তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। তারপর সেই রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দাখিল হয় ৬৫টি আবেদন। বৃহস্পতিবার ছিল সেই মামলার রায়দান। সেখানে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ ৩-২ রায়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। এবং বিষয়টিকে বৃহত্তর সাত সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয় প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ। উল্লেখ্য, কেরলের পাথানামথিত্তা জেলার পশ্চিমঘাট পর্বতের একটি অভয়ারণ্যে অবস্থিত সবরীমালা মন্দির।