বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রথমে নীতিগতভাবে শিবসেনা-এনসিপির সরকারকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত জানালেও সমর্থনপত্র দেয়নি কংগ্রেস। কারণ, দলের অন্দরে প্রবল টানাপোড়েন। দফায় দফায় বৈঠক, আলোচনা-পর্যালোচনা করেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কংগ্রেস। কয়েকটি প্রশ্নে আটকে যাচ্ছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। প্রথমত, চরম হিন্দুত্ববাদী শিবসেনার বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্রে এতদিন লড়াই করেছে কংগ্রেস। এখন সেই শিবসেনাকে সমর্থন করলে দলের ভবিষ্যৎ কতটা প্রশ্নের মুখে পড়বে, ভাবাচ্ছে শীর্ষ নেতৃত্বকে। আগামী দিনে একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে কী জবাব দেবে কংগ্রেস। বিশেষ করে কেরলের মতো রাজ্যে চরম অস্বস্তিতে পড়বেন কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব। দ্বিতীয়ত, শিবসেনার সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়লেও তা পাঁচ বছর পর্যন্ত টিকবে কি না, সেই প্রশ্নও রয়েছে দলের অন্দরে। আবার সরকারে গেলে অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি কী হবে, তা নিয়ে বৈঠকে কাঁটাছেঁড়া চলছে। বিভিন্ন সরকারি সিদ্ধান্তে শিবসেনার সঙ্গে কতটা সহমত হওয়া সম্ভব হবে? এই সব একাধিক প্রশ্নে জর্জরিত কংগ্রেস নেতৃত্ব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারবে বলে মনে করছেন না রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সুশীল কুমার শিন্ধে রাষ্ট্রপতি শাসনের সমালোচনা করে জানান, আমরা সমর্থনপত্র পাঠালেই রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার হয়ে যাবে। আর এক কংগ্রেস নেতা বিজয় ওয়াদেত্তিয়ার সরকার গঠনের সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘যখন তিন দল (কংগ্রেস-এনসিপি-শিবসেনা) একত্র হয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করবে, তখন রাজ্যপাল আমাদের সরকার গঠনের জন্য ডাকবেন।’
আবার কংগ্রেসের সমর্থন ছাড়া সরকার গঠন অসম্ভব। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সরকার গড়ার মতো ম্যাজিক ফিগার শিবসেনা-এনসিপির কাছে নেই। প্রয়োজন ১৪৫। শিবসেনা এবং এনসিপি মিলিয়ে ১২০ বেশি এগতে পারছে না। ফলে কংগ্রেসের ৪৪ জন বিধায়কের সমর্থন ছাড়া সরকার গঠন সম্ভব নয়।