নয়াদিল্লি, ১২ নভেম্বর (পিটিআই): চলতি অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির অনুমিত হার ৬.১ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনল এসবিআই। মঙ্গলবার স্টেট ব্যাঙ্কের সমীক্ষা শাখা ইকনমিক রিসার্চ ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে ‘ইকোর্যােপ’ নামে সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। ভারতীয় অর্থনীতির আরও অবনমনের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে ‘ইকোর্যাোপ’। অটোমোবাইলের বিক্রি কমে যাওয়া, কোর সেক্টরগুলির অগ্রগতির শ্লথগতি, নির্মাণ এবং পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ কমবে বলেই মনে করছেন স্টেট ব্যাঙ্কের বিশেষজ্ঞরা। সেই কারণে, চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে আর্থিক অগ্রগতির হার কমে ৪.২ শতাংশ হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে আশার কথা একটাই, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ভারতীয় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে বলে মনে করছে ইকোর্যা০প। তখন ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৬.২ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতীয় অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে স্টেট ব্যাঙ্কের আশঙ্কা বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। এর আগে এডিবি, বিশ্বব্যাঙ্ক, আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (আইএমএফ) এবং আরবিআইও আর্থিক বৃদ্ধির অনুমিত হার কমিয়েছিল।
ভারতীয় অর্থনীতির অবনমন নিয়ে আলোচনা এখন সর্বত্র। অর্থনীতির সব সূচকেই তার প্রমাণ মিলেছে। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ হয়েছে বলে জানানো হয়। গত ছ’বছরে এই হার সর্বনিম্ন। অবনমনের চিত্র তুলে ধরতে গত বছরের তুলনায় এ বছরের ৩৩টি সূচকের কথা জানিয়েছে স্টেটব্যাঙ্কের গবেষণা শাখা। তাতে বলা হয়েছে ২০১৮ সালের অক্টোবরে এই ৩৩টি সূচকের অগ্রগতির হার ছিল ৮৫ শতাংশ। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৭ শতাংশে।
আরও উদ্বেগের হল, ডিসেম্বরেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আরও একপ্রস্থ সুদ কমাতে পারে বলে জানিয়েছে ইকোর্যােপ। ৫ ডিসেম্বর দ্বি-মাসিক বৈঠকে বসতে চলেছে আরবিআই। সেই বৈঠকে বড় মাপের সুদের হার কমানো হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গতমাসে রেপোরেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এই নিয়ে পরপর পাঁচবার সুদের হার কমানো হয়। সুদের হার কমিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও লাভ হবে না বলেই মনে করছে স্টেট ব্যাঙ্ক। বরং এরফলে আর্থিক বাজারে অনিশ্চয়তা দেখা দেবে বলেই মত ব্যাঙ্কের বিশেষজ্ঞদের।
তবে ভারতীয় অর্থনীতির এই অবনমনের জন্য দেশের নীতিকেই একমাত্র কারণ হিসেবে দেখানো হয়নি। ইকোর্যাাপের মতে, বিশ্ব অর্থনীতি এখন টালমাটাল অবস্থার মধ্য দিয়ে চলেছে। বিশ্ব অর্থনীতি থেকে ভারত বিচ্ছিন্ন নয়।