বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বিবৃতিতে সিপিএম পলিটব্যুরো দাবি করেছে, জেএনইউয়ের বার্ষিক রিপোর্ট অনুসারে ২০১৭ সালে যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৪০ শতাংশ পড়ুয়ারই পারিবারিক আয় মাসে ১২ হাজার টাকার কম। ফলে হস্টেল ফি বৃদ্ধি করে দিলে সেইসব পড়ুয়ার একটি বড় অংশ উচ্চশিক্ষার সুযোগটাই হয়তো পাবেন না। অথচ অতীতে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের পড়ার সুযোগ করে দিয়ে সামাজিক সচেতনতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে জেএনইউ। এভাবে হস্টেল ফি বৃদ্ধি করে আদতে প্রতিভার বিকাশেই বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে। যা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। সিপিএম পলিটব্যুরোর অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যার জেরে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সমস্যার সমাধানের জন্য অবিলম্বে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রককে কথা বলতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন হস্টেল নিয়ম অনুযায়ী ১৭০০ টাকা সার্ভিস চার্জ বসানো হয়েছে। এরই পাশাপাশি এককালীন মেস সিকিউরিটি ফি একধাক্কায় সাড়ে ছ’হাজার টাকা বাড়িয়ে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে। যদিও তা ফেরতযোগ্য বা রিফান্ডেবল। এক শয্যার ঘরের ভাড়া মাসে ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০০ টাকা করা হয়েছে। দ্বিশয্যার ঘরের ভাড়া মাসে ১০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩০০ টাকা। এরই প্রতিবাদে গতকাল ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। বিক্ষোভের জেরে খোদ কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক এবং জেএনইউয়ের উপাচার্যকে ছঘণ্টারও বেশি সময় আটকে থাকতে হয়। বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের উপর লাঠি চালানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনার নিন্দা করে ইতিমধ্যেই এসএফআই জানিয়েছে, এর প্রতিবাদে তারা আরও বড় আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।