পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জিএসটি প্রসঙ্গে সাধারণের মত, পরামর্শ এবং প্রস্তাব জেনে তার নির্যাস নিয়েই সরকারের সমালোচনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তারই লক্ষ্যে খবরের কাগজে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মতামত আহ্বাণ করতে চলেছে পিএসি। উল্লেখ্য, সংসদীয় কমিটির মধ্যে পিএসি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কমিটি বলেই বিবেচিত। তাই সেই কমিটি যেভাবে সাধারণের মত জানতে চাওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে তা উল্লেখযোগ্য বলেই মনে করা হচ্ছে।
রাজ্যগুলির সঙ্গে মতামত আদানপ্রদান করার পরে জিএসটি চালু করার জন্য আরও সময় চেয়েছিল বিরোধীরা। কিন্তু তা মানেনি মোদি সরকার। কংগ্রেস সহ বিরোধীদের অভিযোগ, তাড়াহুড়ো করে জিএসটি চালু করা তো বটেই, ঘন ঘন নিয়ম বদল করায় ব্যবসায়ীরা নাজেহাল। তাই জিএসটি নিয়ে সাধারণ মানুষের কী মত, তা জেনে নিয়ে নতুন করে সরকারকে চেপে ধরতেই সমালোচনার অস্ত্রে শান দিতে চাইছে পিএসি।
সরকারি তথ্য মোতাবেক সেপ্টেম্বর মাসে সরকারের জিএসটি সংগ্রহ গত বছরের চেয়ে ২.৬৭ শতাংশ কমে হয়েছে ৯১ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা। যা গত ১৯ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। অথচ সরকারের প্রয়োজন এক লক্ষ কোটি টাকার বেশি। সেপ্টেম্বরের সংগৃহীত জিএসটির মধ্যে সিজিএসটি অর্থাৎ সেন্ট্রাল জিএসটি হল ১৬ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। এসজিএসটি অর্থাৎ রাজ্যগুলির জিএসটি হল ২২ হাজার ৫৯৮ কোটি টাকা। ইন্টিগ্রেটেড বা আইজিএসটির পরিমাণ ৪৫ হাজার ৬৯ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, সংসদে এমপিদের আচরণবিধি ঠিক করতে আরও কড়া হচ্ছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। আচরণবিধি নিয়ে যে নিয়ম রয়েছে তার পর্যালোচনা করতে নতুন একটি কমিটি তৈরি করলেন স্পিকার। আগামী ছ’ মাসের মধ্যে এই কমিটি রিপোর্ট জমা দেবে। লোকসভার বর্তমান সেক্রেটারি জেনারেল স্নেহলতা শ্রীবাস্তব, প্রাক্তন সচিব বাল শেখর, জি সি মালহোত্রা এবং শ্রীধরণকে নিয়ে একটি বিশেষ কমিটি গড়া হয়েছে। লোকসভার রুল বুকে যা রয়েছে, সেখানে এমপিদের আচরণবিধির অংশে আদৌ কোনও সংশোধন বা সংযোজনের প্রয়োজন আছে কি না, হলেও তা কী হতে পারে, তা খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি। এমপিদের আচরণ প্রসঙ্গে রাজ্যসভা আগেই এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। এবার সেই পথ অনুসরণ করল লোকসভা।