পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ঢিমেতালে চলছে ভারতের অর্থনীতি। যার জেরে গত এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৫ শতাংশ। যা ২০১৩ সাল থেকে সর্বনিম্ন। অব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি নগদ সঙ্কটে ধুঁকছে। যার প্রভাব পড়েছে খুচরো ব্যবসা, গাড়ি শিল্প, আবাসন ও ভারী শিল্পে। আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থা মুডিজ জানিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে (২০১৯-২০) ভারতের রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ বাড়বে। ৩.৩ শতাংশ থেকে বেড়ে হবে ৩.৭ শতাংশ। তাদের মতে, এর সবথেকে বড় কারণ আর্থিক বৃদ্ধির ঢিমে গতি এবং কর্পোরেট কর কমানো।
ক্রেডিট রেটিং কমলেও ভারতের কারেন্সি রেটিং ‘বিএএ-২’-ই রয়েছে। যা দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। রেটিং কমানোর পর বিবৃতি দিয়ে মুডিজ জানিয়েছে, ‘অতীতের তুলনায় আর্থিক বৃদ্ধির হার কম থাকবে। যার অর্থ দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক সমস্যা ও প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা মেটাতে কাজে আসেনি সরকারের নীতি। ফলে ঋণের বোঝা বাড়বে।’ তবে, রেটিং কমালেও সরকারের গৃহীত সংস্কারগুলির জেরে লগ্নি এবং আর্থিক বৃদ্ধি বাড়বে বলে জানিয়েছে মুডিজ। মুডিজ রেটিং নিম্নমুখী করলেও বাকি দুই আন্তর্জাতিক রেটিং প্রদানকারী সংস্থা ফিচ রেটিংস এবং এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিংস ভারতকে স্টেবল অর্থাৎ স্থিতিশীল স্থানেই রেখেছে।
তবে মুডিজ রেটিং কমালেও অর্থমন্ত্রক তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। ভারত বিশ্বের সব থেকে দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া অর্থনীতিগুলির মধ্যে অন্যতম জানিয়ে নয়াদিল্লি বলেছে, ভারতের উপর অর্থসঙ্কটের কোনও প্রভাব পড়েনি। উল্টে গোঁত্তা খাওয়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে নেওয়া সংস্কারমূলক পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেছে মোদি সরকার। অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, ‘বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দা মোকাবিলায় ভারত সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। সেগুলি দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং বিনিয়োগ টানবে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় দেশের আর্থিক ভিত্তি মজবুত রয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে ও মাঝারি মেয়াদে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার বাড়বে।’