বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তাঁরা ‘প্রভাবশালী’। তাই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার সাহস পাননি। টানা সাত বছর ধরে নির্মম অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। শনিবার এই অভিযোগ করলেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি নুটি রামমোহন রাওয়ের পুত্রবধূ। শুক্রবার একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করেছিলেন প্রাক্তন বিচারপতির পুত্রবধূ সিন্ধু শর্মা। সেই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, সিন্ধুকে বেদম মারধর দিচ্ছেন বিচারপতি শ্বশুর, স্বামী বশিষ্ঠ ও শাশুড়ি দুর্গা জয়ালক্ষ্মী। আরও বেশি পণের দাবিতে। দুই ছোট্ট সন্তানের সামনেই চলছে অত্যাচার। প্রাক্তন বিচারপতির বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজটি গত এপ্রিল মাসে। গতকাল সেটি সিন্ধু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর তা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। হাইকোর্টের এক প্রাক্তন বিচারপতির বাড়িতে যেভাবে পুত্রবধূকে পারিবারিক হিংসার শিকার হতে হচ্ছে, তা নিয়ে নিন্দার ঝড় বইতে শুরু করেছে।
মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে ২০১৭ সালে অবসরগ্রহণ করেছিলেন রামমোহন রাও। তাঁর ছেলে বশিষ্ঠের সঙ্গে ২০১২ সালের ২ আগস্ট বিয়ে হয় সিন্ধুর। শনিবার সিন্ধু জানান, বিয়ের প্রথম দিন থেকেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচার শুরু হয় তাঁর উপর। সব কিছু মুখ বুঝে সহ্য করে গিয়েছেন দিনের পর দিন। কিন্তু দুই সন্তানের জন্মের পর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার আরও বেড়ে যায়। সিন্ধুর বাবা এম ভি শর্মা তেলেঙ্গানার সরকারি কর্মী। মেয়ের উপর নির্যাতন সত্ত্বেও বিশেষ কিছু করে উঠতে পারেননি তিনি। কারণ মেয়ের শ্বশুর প্রভাবশালী ব্যক্তি। সিন্ধুর কথায়, রামমোহন রাওয়ের বিচারপতির ভাবমূর্তি ও সামাজিক প্রভাব থাকায় আমাদের কথায় কেউ বিশ্বাস করত না।