বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
রবি মরশুমে সাধারণত গম চাষের ওপরই জোর দেওয়া হয়। এছাড়া চাল, সরষে, সূর্যমুখীর মতো তৈলবীজ, বার্লি, ছোলা, মসুর ডাল চাষ হয়। শীতকালীন চাষের ক্ষেত্রে গতবার রেকর্ড উৎপাদন হয়েছিল। গম হয়েছিল ৯৯.৭ মিলিয়ন টন। চাল ১৫.৪১ মিলিয়ন টন। ডালের উৎপাদন হয়েছিল ১৫.৮৯ মিলিয়ন টন। আর তৈলবীজ ১০.৩১ মিলিয়ন টন। সবমিলিয়ে গতবার শীতকালীন চাষে ১৪৪.১০ মিলিয়ন টন খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছিল। যা ছিল রেকর্ড। কারণ তার আগের বছর ১৩৬.৭৮ মিলিয়ন টন রবি ফসলের উৎপাদন হয়েছিল।
তাই এবারও রেকর্ড ফলনের লক্ষ্যে রবি চাষের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে রাজ্যগুলিকে বৈঠক ডাকা হয়েছে। রবি মরশুমে এই চাষে উৎপাদন বাড়াতে উন্নত বীজ ব্যবহারের পাশাপাশি আধুনিক চাষের ক্ষেত্রে কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ু কী করছে, তা শুক্রবারের সম্মেলনে তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি রবি উৎপাদন কীভাবে বিক্রি করা যাবে, উপযুক্ত দাম পাওয়া মিলবে, তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হবে বলেই কৃষিমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, রবি ফসলে নূন্যতম সমর্থন মূল্য নিয়ে সরকার এখনও নতুন সিদ্ধান্তের কথা কিছু জানায়নি। রাজ্যগুলির সঙ্গে কথার পর কৃষক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করেই সরকার এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। উল্লেখ্য, গতবার নূন্যতম সমর্থন মূল্যের ক্ষেত্রে গমে কুইন্টাল প্রতি ১ হাজার ৮৪০ টাকা, বার্লির ক্ষেত্রে ১ হাজার ৪৪০ টাকা, মসুর ডালে ৪ হাজার ৪৭৫ টাকা এবং ছোলায় ৪ হাজার ৬২০ টাকা দেওয়া হয়েছিল। সূর্যমুখীর ক্ষেত্রে কুইন্টাল পিছু ৪ হাজার ৯৪৫ টাকা, সরষের ক্ষেত্রে ৪ হাজার ২০০ টাকা নূন্যতম সমর্থন মূল্য দিয়েছিল কেন্দ্র।