কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আজ শেয়ার বাজারের এই বিপুল বিপর্যয়ের জেরে সবথেকে বড় আঘাত এসেছে শিল্প ও বাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলিতে। ব্যাঙ্কিং, তথ্যপ্রযুক্তি, মেটাল এবং অটোমোবাইল সেক্টর আজ শেয়ার বাজারে জোর ধাক্কা খেয়েছে। আজ কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছেন, বিশ্বাবাজারে এভাবে আচমকা অশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধির কারণ সৌদি আরবের তৈল সরবরাহ কেন্দ্রে সাম্প্রতিক ড্রোন আক্রমণ। বিগত পাঁচ মাসের মধ্যে তেলের দাম সর্বোচ্চ হয়েছে। একদিকে আর্থিক মন্দা এবং তার মধ্যেই আবার পেট্রপণ্যের দাম বৃদ্ধির জেরে মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে। এবং সেটাই সবথেকে বড় শঙ্কার কারণ সরকারের কাছে। বস্তুত চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশে নেমে যাওয়ার পর বিভিন্ন ঘোষণার মাধ্যমে সরকার প্রাণপণে চেষ্টা করছে জিডিপির হার বাড়াতে। কিন্তু এভাবে পেট্রপণ্যের দাম বেড়ে চলায় সেই প্রয়াস ব্যাহত হবে। একইভাবে বাধাপ্রাপ্ত হবে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ও আর্থিক ঘাটতিকে নিয়ন্ত্রণে আনার প্রচেষ্টা।
পেট্রলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছেন, আমরা শনিবার থেকেই গোটা পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রাখছি। এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে পেট্রপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। আর সেটা অবশ্যই প্রভাব ফেলবে অর্থনীতির উপর। তিনি বলেছেন, সৌদি আরবের উপর ওই আক্রমণের জেরে ভারতের তেল ভান্ডারে আপাতত কোনও প্রভাব পড়বে না। কারণ সেপ্টেম্বর মাসের চুক্তি অনুযায়ী তেল আমদানি করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেছেন, আমরা আজও তেল সংগ্রহ করেছি। তেল উৎপাদক সংস্থাগুলি অবিরত সৌদি আরবের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। ভারতকে আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে যে ভারতে তেল সরবরাহ কোনওভাবেই বাধাপ্রাপ্ত হবে না। উল্লেখ্য ভারত মোট প্রয়োজনের ৮৩ শতাংশ তেলই আমদানি করে। ইরাকের পর সৌদি আরবই হল ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম সাপ্লায়ার। বস্তত গোটা বিশ্বের মধ্যে ভারত তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারী দেশ। এভাবে আচমকা শেয়ার বাজারে ধাক্কা, টাকার দাম আরও কমে যাওয়া, পেট্রলের মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা বস্তুত মন্দাকে আরও জোরালো করবে বলে আশঙ্কা। সুতরাং আর্থিক পরিস্থিতি ফের ঘোরালো হয়ে উঠতে চলেছে দেশে।