কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
পাশাপাশি, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদকে কাশ্মীরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতির মতো প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের কাশ্মীরের বাইরে বেরতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। চলছে না ইন্টারনেট, টেলিফোন। বন্ধ স্কুল, কলেজ। জনজীবন কার্যত স্তব্ধ। যদিও অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল এবং সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তাঁদের দাবি, সাংবাদিকদের খবর সংগ্রহ বা পরিবেশনে কোনও বাধা নেই। তাঁদের জন্য ইন্টারনেট, টেলিফোনের ব্যবস্থা রয়েছে। রাজ্যের পরিস্থিতিও আগের চেয়ে ভালো। স্কুল, কলেজও খুলছে। জনজীবনও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে। তাই এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারকে জবাবদিহির নোটিস না পাঠানোরই আবেদন করেন তাঁরা। কিন্তু আদালত আপত্তি উড়িয়ে নোটিস ইস্যুর নির্দেশ দিয়েছে। লাগাতার অভিযোগ করে এই মামলা জমা পড়ায় আজ শুনানিতে খোদ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেছেন, প্রয়োজনে আমি কাশ্মীর যাব।
কেবল রাজ্যের পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার নির্দেশই নয়। ফারুক আবদুল্লা কোথায় আছেন, তা নিয়ে দক্ষিণের এমডিএমকে’র নেতা ভাইকোর আবেদনে সাড়া দিয়ে কেন্দ্রের জবাবও চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি কাশ্মীরের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের হাইকোর্টে ঠিক মতো আবেদন করা যাচ্ছে না শুনে বিস্ময় প্রকাশও করেন দেশের প্রধান বিচারপতি। বলেন, এই ব্যাপারে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলব। যে অভিযোগ করছেন, তা অত্যন্ত সিরিয়াস। তাই খতিয়ে দেখতে ব্যক্তিগতভাবে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলব।
পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার নির্দেশের পাশাপাশি গুলাম নবি আজাদকে কাশ্মীর যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সিপিএম নেতা মহম্মদ ইউসুফ তারিগামিও দিল্লি থেকে কাশ্মীর ফিরে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন। গুলাম নবি আজাদকে কাশ্মীরের পাশাপাশি জম্মু, অনন্তনাগ এবং বারামুলায় যাওয়ার ছাড়পত্র দিলেও সেখানে তিনি কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন না বলেই শর্ত দিয়েছেন বিচারপতি রজ্ঞন গগৈ, বিচারপতি এস এ বোবডে এবং বিচারপতি আবদুল নজির।