কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সোমবার দুপুরে ঝাড়খণ্ড থেকে সড়ক পথে কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে আসেন যশোদাদেবী। সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ভাই অশোক মোদি ও আত্মীয় পরিজন। তার সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের কিছু লোকও হাজির হয়েছিলেন। প্রায় একটা নাগাদ মন্দিরে আসেন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী। তার আগেই যশোদাদেবীর আসার কথা শুনে বিভিন্ন থানার ওসি, আইসি সহ উচ্চপদস্থ পুলিস অফিসাররা হাজির ছিলেন। যদিও পুলিসের দাবি, আগে থেকে তাঁর আসার কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি।
এদিন মন্দিরের সংকীর্ণ পথ পেরিয়ে মায়ের সম্মুখে আসেন যশোদাদেবী। সঙ্গে ছিলেন আত্মীয়রা। ফুল, পেড়া দিয়ে নিজের নামে পুজো দেন তিনি। পূজারি বিল্টু মুখোপাধ্যায়কে ১০১ টাকা প্রণামী দেন। এরপরেই তিনি মোদিজির জয়ের প্রার্থনা করেন। পূজারি বলেন, নিজের পুজো দেওয়ার পর যশোদাদেবী বলেন, মোদিজির যেন জয় হয় মাকে সেকথা বলুন। পুজো দেওয়ার পর মন্দির থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের সামনে আলাদা করে কোনও কথা বলেননি। আত্মীয়দের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তিনি উপবাস করেছেন এবং আজ মৌনব্রত নিয়েছেন। আত্মীয়রা জানান, ঝাড়খণ্ড ও বিহারের একাধিক মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর এদিন তিনি কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিহার, ঝাড়খণ্ডে একাধিকবার তিনি পুজো দিতে ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির হলেও এই এলাকার মন্দিরে তিনি প্রথমবার এলেন। বাংলার মাটিতে পা দিয়েই স্বামীর জয়ের প্রার্থনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই সময়ে নরেন্দ্র মোদির জয়ের আর্জি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। দেশের বেশিরভাগ রাজ্য জয় হয়ে গিয়েছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপির। দেশের চালকের আসনে তিনি। কয়েকটি রাজনৈতিক দল এখনও তাঁর বিরোধী হিসাবে লড়ে যাচ্ছে। তারমধ্যে অগ্রগন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস। এনআরসি হোক কিংবা কাশ্মীর ইস্যু, সব ক্ষেত্রে প্রধান বিরোধী নেত্রীর ভূমিকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বছর দেড়েক পরেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। এবার বাংলা জয়ই পাখির চোখ বিজেপির। তাই সেই জয়ের প্রার্থনাই করলেন যশোদাদেবী। রাজনৈতিক মহলে তা নিয়ে চলছে আলোচনা।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, স্ত্রী হিসাবে স্বামীর মঙ্গলকামনা করতেই পারেন। এতে রাজনীতি নেই। কিন্তু একজন ভক্ত হিসাবে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরর ধর্মীয় স্থানের উন্নয়নের কথা জানতেন তাহলে তিনিও চাইবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই জয় হোক।
এর উত্তরে বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, তিনি বাংলা জয়ের কথা বলেছেন কিনা বলতে পারব না। তবে আমরা তো সবাই চাই বাংলা থেকে এই অপশাসনের সরকারের বিদায় হোক। আর তৃণমূল কোন উন্নয়নের কথা বলছে, তারকেশ্বর মন্দিরের উন্নয়ন করতে গিয়ে মাথায় বসানো হয়েছে ফিরহাদ হাকিমকে।