গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
তিনি বলেছেন, ‘ভারত যখন সাধারণতন্ত্র দেশ হিসেবে ঘোষিত হয়, তখন আমরা প্রতিজ্ঞা করেছিলাম বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যই আমাদের মন্ত্র। কোনও শাহ, সুলতান বা সম্রাটের সেটা লঙ্ঘন করার স্পর্ধা দেখানো উচিত নয়। জালিকাট্টুর সময় তামিলনাড়ুর প্রতিবাদ দেখেছে গোটা দেশ। ওটা ছিল একটা নমুনামাত্র। কিন্তু ভাষার জন্য যদি ফের আমাদের লড়াই করতে হয়, তবে তার মাত্রা ও ব্যপ্তি হবে বহুগুণ। এই যুদ্ধ ভারত বা তামিলনাড়ুর জন্য কাঙ্ক্ষিত নয়। সারা দেশ বাংলাতেই জাতীয় সঙ্গীত গাইতে পছন্দ করে। কারণ, ওই গানে সব ভাষা এবং সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। তাই ওটাই আমাদের জাতীয় সঙ্গীত। আমরা সব ভাষাকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু মাতৃভাষা বলতে তামিলকেই বুঝি। আর বুঝবও।’ এর আগে জুলাই মাসে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১৯ নিয়েও কেন্দ্রকে এইরকম হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কমল হাসান। ওই নীতিতে বলা হয়েছিল দক্ষিণের পড়ুয়াদের হিন্দি শিখতে হবে। এর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন তিনি।
অমিত শাহের এই ‘হিন্দি ভাষা’ বিতর্কে অবশ্য পরোক্ষভাবে কেন্দ্রের পাশে দাঁড়িয়েছেন পুদুচেরির লেফটেন্যান্ট গভর্নর তথা প্রাক্তন আইপিএস অফিসার কিরণ বেদি। তিনি রবিবার বলেন, ‘আমি দক্ষিণ ভারতের মানুষকে অনুরোধ করছি হিন্দি ভাষা শিখে নেওয়ার জন্য। এতে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা অনেক সহজ হবে। আমাকে তো এখানে সবসময় অনুবাদকের সাহায্য নিতে হয়। তাই আপনাদের বলছি, আমাদের ভাষা শিখে নিলে আপনাদের সংস্কৃতি হারিয়ে যাবে বা নষ্ট হয়ে যাবে এমন মনে করার কোনও কারণ নেই।’ তবে এনিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি বলেন, ‘আমি শুধু বলতে চেয়েছি আমি একটা ফাঁক দেখতে পাচ্ছি। সবসময় হিন্দি যোগাযোগরক্ষাকারী ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয় না। সেই জায়গাটা নিয়ে নিয়েছে ইংরেজি ভাষা। এইখানেই আমাদের সচেতন হওয়া দরকার। তাহলে আমাদের নিজের ভাষা হিন্দির কী হবে!’