কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সে কথা মাথায় রেখেই আধুনিক চিকিৎসার পাশাপাশি আয়ুর্বেদের মতো প্রাচীন চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রসারের উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। আয়ুর্বেদের পাশাপাশি যোগা, ইউনানি, সিদ্ধা এবং হোমিওপ্যাথি (আয়ূশ) চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর জোর দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী আয়ূশ মন্ত্রককে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আয়ূশের চিকিৎসা কেন্দ্র এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ বা সারানোর মতো কী কী ওষুধ দেশে পাওয়া যায়, কোথায় চিকিৎসা হয়, তার একটি বিস্তারিত তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। দেশের সব সরকারি হাসপাতালে যাতে আয়ূশ কেন্দ্র থাকে, তারই লক্ষ্যে এগচ্ছে মোদি সরকার।
আয়ূশ মন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পালন করতে গোটা দেশে আগামী পাঁচ বছরে সাড়ে ১২ হাজার আয়ূশ কেন্দ্র খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অধীনে গোটা দেশে যে দেড় লক্ষ হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার রয়েছে, সেখানে আয়ুষ্মান ভারতের অঙ্গ হিসেবে আয়ূশ চিকিৎসা মিলবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী। দিল্লিতে রাম মনোহর লোহিয়া, সফদরজং হাসপাতালে ইউনানি মেডিক্যাল সেন্টার রয়েছে। আয়ূশ চিকিৎসা ব্যবস্থার পড়াশোনা থেকে শুরু করে গবেষণা, ওষুধের সন্ধান দেওয়ার মতো যাবতীয় বিষয়কে একটি ছাতার তলায় আনতেও উদ্যোগ নিচ্ছে মন্ত্রক। পাশাপাশি এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের সঙ্গে আয়ূশ মন্ত্রকের একটি চুক্তিও হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারি গবেষণা সংস্থা সিএসআইআর এবং ডিআরডিও আয়ুর্বেদের ওষুধও তৈরি করেছে। ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় বিজিআর-৩৪, কিডনির সমস্যায় নিরি-কেএফটি, শ্বেতি সারাতে লিউকোসকিনের মতো ওষুধ আবিষ্কার করা হয়েছে। দীর্ঘদিন গবেষণা করে তৈরি এই ওষুধ বাজারেও পাওয়া যায়। কিন্তু তাও বেশিরভাগ রোগীই আধুনিক অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসায় উল্লিখিত রোগ সারানোর দিকে ঝোঁকেন। তাই আয়ূশ চিকিৎসাতেও যে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, অন্যান্য অনেক ছোঁয়াচে রোগও সারে এবং সেইসব ওষুধ বাজারে পাওয়া যায়, এসব সাধারণ মানুষকে জানাতে প্রচারও শুরু করবে বলে ঠিক করেছে কেন্দ্র।