দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
এদিন ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, কীভবে ওইসব স্ক্রিনশট ও ভিডিওগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় এল? বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় এই স্ক্রিনশটগুলি পোস্ট করা হয়েছে। আমার মেয়ে এগুলি প্রমাণ হিসেবে সিটকে দিয়েছিল। এটি একটি ষড়যন্ত্র। সুপ্রিম কোর্টে সবটা জানাব। পুরো ঘটনা নিয়ে তদন্তের অনুরোধ করব। সিটের কাছে পেশ হওয়া ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার মধ্যেই বিতর্ক বাড়িয়েছেন স্বামী ওমজি নামে এক স্বঘোষিত ধর্মগুরু। ধর্ষণে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। রবিবার স্বামী ওমজির হুমকি, চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে কোনও রকম ‘মিথ্যা’ মামলা দায়ের হলে দেশজুড়ে কোটি কোটি হিন্দু রাস্তায় নামবেন। আন্দোলন হবে। ঘটনাচক্রে স্বঘোষিত ধর্মগুরু স্বামী ওমজি আবার টিভি রিয়ালিটি শো বিগ বসের প্রতিযোগী। রবিবার তাঁর আরও হুঁশিয়ারি, স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের কোনও অভিযোগ দায়ের করতে পারবে না উত্তরপ্রদেশ সরকার। আর যদি কোনও মামলা দায়ের হয়ে থাকে, তাহলে তা প্রত্যাহার করতে হবে। শুধু তাই নয়, স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগে রাজনৈতিক রং লাগানোরও চেষ্টা করেছেন ওমজি। তাঁর অভিযোগ, আইনের ওই ছাত্রী দিল্লিতে সোনিয়া, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁদের কথাতেই চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ভুয়ো এফআইআর দায়ের করেছেন।
ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে কী প্রমাণ রয়েছে, আইনের ওই ছাত্রীর কাছে তা জানতে চেয়েছিলেন সিটের তদন্তকারীরা। তার ভিত্তিতেই গতকাল ওই ছাত্রী সিটের হাতে একটি পেন ড্রাইভ তুলে দিয়েছিলেন। সেখানে প্রমাণ হিসেবে মোট ৪৩টি ভিডিও ছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত সিট ওই ছাত্রীকে শুক্রবার সকালে নিয়ে গিয়েছিল স্বামী চিন্ময়ানন্দের বেডরুমে। সেখান থেকে প্রমাণ হিসেবে বিভিন্ন সামগ্রী সংগ্রহ করেছিল। গতকাল ছাত্রীর মায়ের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন সিটের অফিসাররা। তার মধ্যেই সিটের হাতে প্রমাণ হিসেবে পেশ হওয়া ভিডিও ফুটেজগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হওয়া নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়ে গেল।