বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গতকাল উত্তরপ্রদেশের বেরিলিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গঙ্গওয়ার বলেন, ‘দেশে চাকরির অভাব নেই। কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু বাইরে থেকে যারা নিয়োগ করতে আসে, তারা উত্তর ভারতে ঠিক যোগ্য লোক পায় না। তাদের কোম্পানিতে নিয়োগ করার জন্য যে যোগ্য লোকের প্রয়োজন, তা মেলে না বলেই আমাকে অনেক সময়ই শুনতে হয়।’ সঙ্গে সংযোজন করেন, ‘দেশের কোথায় কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে, শ্রমমন্ত্রী হিসেবে তার খোঁজখবর আমি রাখি। সেখানেই এই তথ্য পেয়েছি।’
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্য সামনে আসতেই সরকারকে চেপে ধরতে রবিবার মাঠে নামে বিরোধী কংগ্রেস। বলা হয়, ক্ষমতায় এলে প্রতি বছর দু’ কোটি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদি। তা হয়নি। এরই মধ্যে দেশে আর্থিক বৃদ্ধির হার মাত্র ৫ শতাংশ হয়েছে। অর্থনৈতিক অবস্থা বেহাল। সরকার বাস্তব অবস্থার কথা মুখে স্বীকার না করলেও প্রায় প্রতি সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নতুন নতুন প্যাকেজ ঘোষণা করছেন। তারই মধ্যে গঙ্গওয়ারের এই মন্তব্য!
সরকারকে চেপে ধরতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ট্যুইট করে বলেন, ‘মন্ত্রীজি পাঁচ বছরেরও বেশি সময় আপনারা সরকারে রয়েছেন। যেটুকু চাকরি ছিল, তাও এই আর্থিক দুরবস্থার কবলে পড়েছে। তাই নিজেদের ব্যর্থতাকে ঢাকতে এভাবে উত্তর ভারতীয়দের অপমান করে পালিয়ে বাঁচতে পারবেন না।’ কংগ্রেস মুখপাত্র প্রমোদ তিওয়ারিকে দিয়েও কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের সমালোচনা করিয়েছে আইসিসি। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী উত্তর ভারতের বারাণসী থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ও উত্তর ভারতেই। তাহলে কি সেখানে যোগ্য ছাত্রছাত্রী নেই? উত্তর ভারতের অপমান মানে গোটা দেশেরই তরুণ প্রজন্ম তথা চাকরিপ্রার্থীদের অপমান। মোদি সরকার চাকরি দিতে পারছে না। কর্মসংস্থানে ব্যর্থ। সেটা স্বীকার না করে বেকারদের কাঁধে বন্দুক রেখে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন গঙ্গওয়ার। তাই শ্রমমন্ত্রীর পদে থাকার কোনও যোগ্যতাই নেই তাঁর। এখনই পদ থেকে সরে দাঁড়ান।’