পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
২০১৪ সালে কেন্দ্রে প্রথমবারের জন্য ক্ষমতায় এসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাপানের মতো ভারতেও বুলেট ট্রেন চালানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন। এবারের লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে দ্বিতীয়বারের জন্য বিজেপির সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সেই স্বপ্নের বুলেট ট্রেন প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন ঘটাতে আরও তৎপর হয়েছে কেন্দ্র। তারই ফলস্বরূপ উল্লিখিত প্রকল্প রূপায়ণকারী সংস্থা এনএইচএসআরসিএল (ন্যাশনাল হাইস্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেড) কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই পুরো প্রকল্পের সার্থক রূপায়ণ সম্ভব। এরপরেই বুলেট ট্রেনের যাত্রীভাড়ার প্রাথমিক তালিকা নির্ধারণ করেছে রেলমন্ত্রক।
জানা যাচ্ছে, মুম্বই থেকে আমেদাবাদ যেতে বুলেট ট্রেন মোট ৫০৮.১৭ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে। এই গোটা যাত্রাপথের মধ্যে মহারাষ্ট্রে পড়েছে প্রায় ১৫৫ কিলোমিটার, গুজরাতে পড়েছে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দাদরা ও নগর-হাভেলিতে পড়েছে মাত্র দু’কিলোমিটার অংশ। এর মধ্যে স্টপ হিসেবে যে ১২টি স্টেশনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে, সেগুলি হল মুম্বই, থানে, ভীরার, বৈসার, ভাপী, বিল্লিমোরা, সুরাত, ভারুচ, বরোদা, আনন্দ, আমেদাবাদ এবং সবরমতী। এই মোট ৫০৮.১৭ কিলোমিটার যাত্রাপথে মধ্যে ২১ কিলোমিটার হবে মাটির তলায় এবং সাত কিলোমিটার টানেল থাকবে সমুদ্রের নিচে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের এই হাইস্পিড রেল প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা হয়ে দেখা দিচ্ছে জমি।
এর আগে সংসদে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছিলেন, বুলেট ট্রেন প্রকল্পের জন্য জমির সমস্যা মেটাতে প্রয়োজনে বাজারদরের তুলনায় পাঁচ গুণ ক্ষতিপূরণ দিয়ে জমি কেনা হবে। রেল সূত্রের খবর, বুলেট ট্রেন প্রকল্পের রূপায়ণের জন্য মোট ১ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমি প্রয়োজন। অথচ এখনও পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ হয়েছে প্রায় ৬২২ হেক্টর। গোটা প্রকল্পের খরচ আনুমানিক এক লক্ষ কোটি টাকার কিছু বেশি। যেখানে শুধুমাত্র জমি অধিগ্রহণের জন্যই খরচ করতে হচ্ছে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। এই প্রকল্পটি হচ্ছে একটি জাপানি সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে। শর্তসাপেক্ষে মোট প্রকল্প খরচের প্রায় ৮১ শতাংশ অর্থ পাওয়া যাবে ‘জাইকা’র থেকে (জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি)। বাকি খরচের অংশ দিচ্ছে মহারাষ্ট্র এবং গুজরাত সরকার।