কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রবিবার শ্রীনগরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজ্যপাল। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশের কথা উল্লেখ করে সত্যপাল মালিক বলেন, ‘প্রয়োজনীয় উন্নয়ন করতে পারলে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা কেন এত কষ্ট করে সেখানে থাকবেন, তাঁরাও সেখান থেকে চলে এসে এখানে বসবাস করবেন।’ গত বছরের জুন মাসে বিজেপি-পিডিপির জোট সরকার পড়ে যাওয়ার পর আগস্টে সত্যপালকে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল নিযুক্ত করেন মোদি সরকার। তারপর রাজ্যের ভোট করার কথা থাকলেও গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করেন তিনি।
তারপর থেকেই ভারতের অন্তর্বর্তী বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করে আসছে পাকিস্তান। কাশ্মীরিদের মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে দাবি করে এই ইস্যুতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে সরব হয়েছে তারা। আর পাকিস্তান কাশ্মীর নিয়ে কথা বললেই ভারত পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল নেওয়ার কথা বলছে। এর আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে যদি আলোচনা হয়, তাহলে একমাত্র তা পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়েই হবে।
অন্যদিকে, পাকিস্তানিরা ‘অসন্তুষ্ট’ জানিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থে অপপ্রচার চালানো উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার। ভারতে এই ভুল ধারণা চালু রয়েছে, অথচ তিনি ওখানে গিয়ে ভালো ব্যবহারই পেয়েছেন। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, ‘এখানকার জনগণ বলে, পাকিস্তানিরা বিচার পাচ্ছেন না, অসন্তুষ্ট। কিন্তু, এটা ঠিক নয়। পাকিস্তানের আসল পরিস্থিতি না বুঝে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে এই ধরনের মন্তব্য করা হচ্ছে।’ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পাকিস্তানে গিয়ে তিনি উষ্ণ অভ্যর্থনাই পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন পাওয়ার। তাঁর কথায়, ‘পাকিস্তানিরা বিশ্বাস করেন, তাঁরা ভারতে গিয়ে পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে না পারলেও, ভারতীয়দের তাঁরা আত্মীয় হিসেবেই দেখেন।’