পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২ বছর ধরে এই ব্যাঙ্কে সোনার মূল্য নির্ধারণকারী হিসেবে কাজ করছিলেন নাদার। ব্যাঙ্কের আধিকারিক বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা সিদ্ধান্ত নিই, আমাদের মোট সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণ করার। সেইমতো লকার থেকে ৭৭টি প্যাকেট খোলা হয়, যেগুলির মধ্যে সোনা ছিল। কিন্তু দেখা যায়, সেগুলি সব নকল সোনা। এরপরই পুলিসের দ্বারস্থ হই।’
ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমেই নাদারের উপর নজর পড়ে পুলিসের। কারণ, সোনার মূল্য নির্ধারণ করার দায়িত্ব ছিল তাঁরই। নাদারের বয়ানের ভিত্তিতেই গ্রাহকদের সোনার বিনিময়ে ঋণ এবং শংসাপত্র দিত ব্যাঙ্ক। কিন্তু প্রথম থেকেই এই ঘটনার সঙ্গে যোগসূত্র অস্বীকার করে আসছেন নাদার। শেষমেশ পুলিসি জেরায় ভেঙে পড়েন তিনি। পুলিসকে জানান, ১২ জনকে ভুয়ো গ্রাহক বানিয়ে গোটা ‘অপারেশন’ সম্পন্ন হয়েছে। তাদের প্যান এবং আধার কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে ভুয়ো গ্রাহক তৈরির জন্য। তারপর দাদর থেকে নকল সোনা কিনে এনে সেটিকে আসল বলে ব্যাঙ্কের লকারে রেখে দেওয়া হতো। এভাবে মোট ৩ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা ঋণ ও শংসাপত্র ব্যাঙ্ক দিয়েছে নাদরের বয়ানের ভিত্তিতে। ধারাভি থানার সিনিয়র ইন্সপেক্টর সুরেশ পাতিল বলেন, ‘ওই ১২ ভুয়ো গ্রাহককে নামমাত্র টাকা দিয়ে বাকি টাকা নিজেই হাতিয়ে নেন নাদার। এই টাকায় সম্পত্তি, গাড়ি এবং মোটরসাইকেল কেনা হয়েছে। প্রতারণার টাকা উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে জোরকদমে।’