কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শ্রম মন্ত্রক সূত্রের খবর, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দপ্তর ডিপার্টমেন্ট অব পার্সোনেল আ্যন্ড ট্রেনিং (ডিওপিটি) বিভাগ স্বেচ্ছাবসরের জন্য একটি অভিন্ন নীতি কার্যকরের উপর জোর দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি দপ্তরের কর্মীদের বয়স ৫৫ বছর বা চাকরির মেয়াদ ৩০ বছর পেরলেই এই স্বেচ্ছাবসরের প্রকল্প তাঁদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এই তালিকায় পড়া কর্মীদের কর্মক্ষমতা, বিগত দিনে কাজের পারফরম্যান্স রিপোর্ট ইত্যাদি বিবেচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি রেলে এই নিয়ম চালু করার জন্য রেলবোর্ড প্রায় উঠেপড়ে লেগেছে। অন্যান্য কয়েকটি দপ্তরেও এনিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের একাংশের মধ্যে যথেষ্ট আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ইএসআই কর্তৃপক্ষ শুক্রবারের বোর্ড মিটিংয়ে সংস্থার কর্মীদের জন্য এক ধাপ এগিয়ে ভিন্ন স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প চালু করার প্রস্তাব পেশ করে। সেই প্রস্তাবে ছিল ৪৫ বছর বয়স বা চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর উত্তীর্ণ হলেই সংশ্লিষ্ট কর্মীদের এই প্রকল্পের আওতায় আনা যাবে। এই প্রস্তাবের কথা শুনে রে রে করে ওঠেন বোর্ডের সদস্য শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সাংসদদের মধ্যে কেউ কেউ এনিয়ে আপত্তি তোলেন। তাঁদের সকলেরই যুক্তি, ডিওপিটি’র গৃহীত নীতি নিয়ে এমনিতে অনেক প্রশ্ন ও আপত্তি রয়েছে। তাকে উপেক্ষা করে একটি মন্ত্রকের অধীন এই কর্পোরেশন কী করে ভিন্ন নীতি গ্রহণ করে? যদিও ইএসআই নিগমের ডিজি গোড়ায় এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর আদায়ের জন্য নিজের যুক্তিতে অনড় থাকেন। কিন্তু শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের হই-হট্টগোলের জেরে শেষ পর্যন্ত মন্ত্রী নিজেই হস্তক্ষেপ করেন। আপাতত এনিয়ে নিগম কোনও পৃথক সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে না বলে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।
সূত্রের খবর, কেবল কর্মচারীদের স্বেচ্ছাবসরই নয়, আরও একটি বিষয়ে শ্রমিক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের প্রবল বিরোধিতার জেরে পিছু হটতে হয়েছে নিগম কর্তৃপক্ষকে। সংস্থার ডিসপেনসারি ও হাসপাতালের ওষুধপত্র সহ যাবতীয় সামগ্রী কেনার পিছনে নিগমের তরফে ফি বছর কয়েক হাজার টাকা খরচ করা হয়। মোদি সরকার যে কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি দপ্তরের জিনিস কেনাকাটায় স্বচ্ছতা আনতে ই-মার্কেট সিস্টেম (জেমস) চালু করেছে। ইএসআই কর্তৃপক্ষ বর্তমানে সেই পদ্ধতিতেই যাবতীয় কেনাকাটা করে থাকে। নিগমের বর্তমান কর্তৃপক্ষ জেমস-এর পরিবর্তে নিজস্ব ক্রয় পদ্ধতি চালু করতে চাইছিল। কিন্তু এই প্রস্তাব নিয়ে সন্দিহান শ্রমিক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরা স্বচ্ছতার প্রশ্নে এর বিরোধিতায় প্রবলভাবে আপত্তি জানান। শেষ পর্যন্ত তাঁরা পাশে পেয়ে যান শ্রম মন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিককে। জেমস পদ্ধতিতে জিনিসপত্র কেনার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় রাজস্ব মন্ত্রকের জারি করা সার্কুলারের পরিপন্থী অবস্থান নিয়ে কোনও ভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত হবে না বলে তিনি নিদান দিলে আর এনিয়ে আলোচনা এগনোর ঝুঁকি নেয়নি নিগম কর্তৃপক্ষ।