কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শনিবার তিনটি ব্যাঙ্কের শীর্ষস্থানীয় কর্তারা গ্রাহকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার এমডি এবং সিইও অশোককুমার প্রধান বলেন, আমরা যেমন পশ্চিমবঙ্গ এবং ত্রিপুরায় স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে কাজ করি, তেমনই দিল্লিতে তা করে ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অব কমার্স। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের আওতায় আছে পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং চণ্ডীগড়। ওই ছ’টি রাজ্যে একযোগে আহ্বায়ক হিসেবে কজ করবে নতুন ব্যাঙ্ক। প্রসঙ্গত, কোনও রাজ্যে ছোট ও মাঝারি শিল্প, কৃষি, প্রাণীসম্পদ, মৎস্য, স্বনির্ভর গোষ্ঠী প্রভৃতি ক্ষেত্রে কত ঋণ দেবে ব্যাঙ্কগুলি, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে উল্লখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আহ্বায়ক ব্যাঙ্ক। নাবার্ড, সিডবি, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গেও রাজ্যের সম্পর্ক তৈরিতে মূল চালিকাশক্তির কাজ করে ব্যাঙ্ক।
এদিন বৈঠকে হাজির ছিলেন অশোককুমার প্রধানের পাশাপাশি পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের জেনারেল ম্যানেজার চন্দ্র খুরানা এবং ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্কের জেনারেল ম্যানেজার বিনয়কুমার গুপ্তা। তাঁরা বলেন, ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের পর যেমন স্বেচ্ছাবসরে কর্মীদের বাধ্য করার কোনও প্রশ্ন নেই, তেমনই নতুন করে চাকরির জায়গা ছোট হয়ে আসার আশঙ্কাও নেই। কারণ যেভাবে অর্থনীতির উন্নয়নের সম্ভাবনার কথা বলা হচ্ছে, তাতে আরও বেশি পরিষেবা দিতে এগিয়ে আসতে হবে ব্যাঙ্কগুলিকে। তাতে চাকরির জায়গা প্রশস্ত হবে। কর্তারা জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কগুলিতে যে যে পণ্য ও পরিষেবা আছে, সেগুলির মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট কোনটি, তার বাছাইপর্ব যেমন চলবে, তেমনই কর্মীদের জন্যও সবচেয়ে ভালো রীতি কী কী রয়েছে ওই তিনটি ব্যাঙ্কে, সেগুলিরও পর্যালোচনা করা হবে। মোট ২৩টি কমিটি গঠন করা হয়েছে ওই কাজগুলি দেখভাল করার জন্য। ফলে কর্মী বা গ্রাহক— সংযুক্তিকরণের সবাই যে লাভবান হবেন, তা মনে করিয়ে দিয়েছেন কর্তারা। তাঁরা জানিয়েছেন, সংযুক্তিকরণের জন্য ইতিমধ্যেই পর্ষদে অনুমতি পাশ করিয়ে নিয়েছে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক। বাকি দু’টি ব্যাঙ্ক শীঘ্রই তা করবে। নতুন ব্যাঙ্কের হেড অফিস দিল্লিতে হতে পারে বলে মনে করছেন কর্তারা।