পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মাইক্রোসফটের ভারতবর্ষের এমডি অনিলজি বলেন, প্রায় এক বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই নয়া প্রযুক্তিকে আমরা সবার সামনে হাজির করতে পেরেছি। অ্যাপোলো’র অন্যতম শীর্ষ কর্ত্রী ডঃ সঙ্গীতা রেড্ডি বলেন, দু’লক্ষ রোগীর তথ্য নিয়ে গবেষণা করে এই সিভিডি রিস্ক স্কোর সামনে আনা গিয়েছে। চিকিৎসক সঙ্কট, স্বাস্থ্যকর্মী সঙ্কটের আজকের দুনিয়ায় এটি আসলে স্বাস্থ্যে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের একটি ঐতিহাসিক দিন। তিনি বলেন, এখন আর এই প্রযুক্তি শুধুমাত্র অ্যাপোলো আর মাইক্রোসফটের মধ্যে যৌথ উদ্যোগ হয়েই থাকল না। সারা দেশের সমস্ত সরকারি বেসরকারি হাসপাতালের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হল। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে দিল্লির এইমস, এসজিপিজিআই লখনউয়ের মতো দেশের শীর্ষস্তরের মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠানগুলিতে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় সমীক্ষা শুরু হয়েছে।
গোটা বিষয়টি স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়ে হায়দরাবাদের নামকরা কার্ডিওলজিস্ট এবং এই প্রকল্পে যুক্ত সিনিয়র চিকিৎসক ডাঃ শিবকুমার বললেন, এতদিন পর্যন্ত চিকিৎসকরা কোনও রোগীকে দেখে তার হার্টের অসুখ সম্পর্কে একটি ভবিষ্যৎ অনুমানের কথা বলে আসছেন। রোগীকে ক্লিনিক্যালি বাইরে থেকে দেখে এই স্কোর জানিয়ে দেবে আগামী পাঁচ থেকে সাত বছরে তাঁর হার্টের করোনারি আর্টারি ডিজিজ হওয়ার সুর্নির্দিষ্ট আশঙ্কা কত। পৃথিবীতে চালু এই ধরনের যাবতীয় স্কোরগুলির মধ্যে সবচেয়ে সফল এই নয়া প্রযুক্তি (অনুমান করায় ৮৭ শতাংশ সাফল্যের হার)। এমনই দাবি করেছেন ডাঃ কুমার।
যদিও এই স্কোর চালু হলে মানুষের মধ্যে রোগ নিয়ে আতঙ্ক বাড়বে কি না, প্রাইভেট হাসপাতাল ও ওষুধ কোম্পানিগুলি আরও ফুলে ফেঁপে উঠবে কি না, স্পর্শ চিকিৎসার বদলে স্বাস্থ্যে প্রযুক্তির বাড়াবাড়ি আরও মাথাচাড়া দেবে কি না ইত্যাদি কড়া প্রশ্নগুলির সদুত্তর মেলেনি। সঙ্গীতা রেড্ডির শুধু উত্তর ছিল, আসলে এগিয়ে চলাই জীবন।
সিভিডি স্কোর প্রযুক্তি ছাড়াও যে কোনও রোগীর বর্তমান অবস্থা জানা, সেই অনুযায়ী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া এবং তারই জন্য নিযুক্ত নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য পরামর্শদাতার সাহায্যে আগের থেকে অন্য মানুষে পরিণত করার তিন বছরের জন্য নয়া প্রকল্প ‘অ্যাপোলো প্রো হেলথ’ কর্মসূচির এদিন উদ্বোধন করেন হাসপাতাল গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান ডাঃ প্রতাপ রেড্ডি। কীভাবে একই হাসপাতালের বিভিন্ন ঘরে রোগী পরিষেবায় যুগান্তকারী উন্নতি করা যায় (বেডের রেলিং কোনওভাবে পড়ে গেলে সেন্সরের মাধ্যমে সিস্টার স্টেশনে জানানো ইত্যাদি) সেসব নিয়েও আলোচনা হয়। স্বাস্থ্য পরিষেবায় ড্রোনের ব্যবহার নিয়েও কথাবার্তা হয়।