বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, এবার এই প্রক্রিয়া একেবারে শুরু থেকেই ইস্টার্ন এবং ওয়েস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরে কার্যকর করা হচ্ছে। রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই ইস্টার্ন এবং ওয়েস্টার্ন ডিএফসির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। তারপরেই ওই দুই রুটে মালগাড়ির চলাচল শুরু হয়ে যাবে। পণ্য পরিবহণের জন্য সম্পূর্ণ আলাদা করিডর তৈরি হওয়ায় এই কাজে আরও বেশি গতি আসবে বলেই মনে করছে রেল। কিন্তু অযথা দুর্ঘটনা ঘটে যাতে পণ্য পরিবহণের গতি রোধ না হয়, সেই লক্ষ্যে এখন থেকেই উদ্যোগী হয়েছে রেলমন্ত্রক। যার ফলে পুরো ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরে একটিও লেভেল ক্রসিং না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাতে লেভেল ক্রসিং পেরতে গিয়ে অযথা দুর্ঘটনা না ঘটে। এমনকী এই রুটে আলাদা এলিফ্যান্ট করিডর তৈরিরও পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই ডিএফসির খুর্জা এবং ভূদান সেকশনের মধ্যে সাফল্যের সঙ্গে মালগাড়ির ট্রায়াল রান সম্ভব হয়েছে। আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যেই নির্দিষ্ট করে এই অংশের মধ্যে পণ্য পরিবহণ শুরু করে দেওয়ার ভাবনা রয়েছে রেলের। ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে অংশ রয়েছে মোট ২০৩ কিলোমিটার। রেলের পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে গতি আনতে ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। ইস্টার্ন ও ওয়েস্টার্ন ডিএফসি ছাড়াও কলকাতা-মুম্বই, খড়্গপুর-বিজয়ওয়াড়া এবং দিল্লি-চেন্নাই রুটে আরও তিনটি ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি আপাতত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। একইসঙ্গে রেলের মেম্বার ট্র্যাফিক পি এস মিশ্রা জানিয়েছেন, ১ অক্টোবর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত পণ্য পরিবহণের উপর যে ‘বিজি সিজন চার্জ’ (বিএসসি) ধার্য করা হয়, তা এ বছর কার্যকর করা হচ্ছে না।