বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তিনি বলেছেন, ‘দিল্লিতে জোড়-বিজোড় নীতির কোনও প্রয়োজন নেই। আমরা যে নিউ রিং রোড তৈরি করেছি, সেটিই দিল্লির দূষণ একধাক্কায় অনেকটাই কমিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তাছাড়া কেন্দ্রীয় সরকার আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ করছে। আগামী দু’বছরের মধ্যে দিল্লি দূষণ-মুক্ত হয়ে যাবে।’ শীত পড়লেই, বিশেষ করে দিওয়ালির পর থেকে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস পর্যন্ত দিল্লির দূষণ মাত্রাতিরিক্তভাবে বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে দিল্লির পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে শস্যের আগাছা পোড়ানোর ধোঁয়া পরিস্থিতি আরও দুর্বিষহ করে তোলে। দিওয়ালিতে বাজি পোড়ানোর ঘটনাও দূষণ-পরিস্থিতি আরও অসহনীয় করে তোলে। দূষণ নিয়ন্ত্রণের সেই চ্যালেঞ্জ সামলাতে এবার এখন থেকেই উদ্যোগী হয়েছে দিল্লি সরকার। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণে তাঁরা সেভেন পয়েন্ট এজেন্ডা গ্রহণ করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে দিল্লিবাসীকে বিনামূল্যে দূষণরোধী এন-৯৫ মাস্ক বিতরণ। আগামী অক্টোবর মাস থেকেই এই বিতরণের কাজ শুরু করে দেওয়ার ভাবনা রয়েছে দিল্লি সরকারের। রয়েছে বৃক্ষরোপণ সংক্রান্ত দিল্লি-ট্রি চ্যালেঞ্জ।
কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, এই কর্মসূচিতে দিল্লিবাসীর কাছে একটি ফোন নম্বর পৌঁছে দেওয়া হবে। যেখানে ফোন বা এসএমএস করলে নিমেষে বাড়িতে পৌঁছে যাবে গাছের চারা। শীতের সময় যাতে অযথা কাঠজ্বালানি ব্যবহার না হয়, সেই কারণে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ হল দিওয়ালির আগের দিন ‘ছোটি দিওয়ালি’ পালন করবে দিল্লি সরকার। দেখানো হবে লেজার শো। বাজি না পুড়িয়ে কীভাবে সবাই মিলে একসঙ্গে দিওয়ালি পালন করা যায়, সেটিই এই কর্মসূচির অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য। রাস্তার ধারের গাছগুলিতে আরও বেশি হারে ছেটানো হবে জল। এদিন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, ‘২০১১ থেকে ২০১৪ সালের সঙ্গে তুলনায় করলে গত তিন বছরে দিল্লিতে দূষণের হার অন্তত ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। কিন্তু একেবারে বিশুদ্ধ বায়ুর লক্ষ্যমাত্রায় (ক্লিন এয়ার টার্গেট) পৌঁছতে গেলে দূষণের হার ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে হবে।’ দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে শস্যের আগাছা পোড়ানোর ইস্যুতে দিল্লি সরকার হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে কথাবার্তা চালাবে বলেও জানিয়েছেন কেজরিওয়াল।