বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত কয়েকদিন ধরেই এবিষয়ে বিভিন্নমহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সাধারণ মানুষের অনেকেরই দাবি, স্ক্রিনে যে দেখানো হচ্ছিল বিক্রমের বিন্দুটি চাঁদের মাটি থেকে মাত্র ৩৩৫ মিটার উঁচুতে রয়েছে। তাহলে সেটা কিভাবে ২.১ কিমি উচ্চতায় চলে গেল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও এবিষয়ে ইসরোর পক্ষ থেকে সরকারিভাবে এখনও এবিষয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে শোনা যাচ্ছে বিষয়টি নিয়ে ইসরোর অন্দরেও শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে। তাহলে কী কোনওভাবে শুক্রবার রাতে ভুলবশত বিক্রম ২.১ কিমি উচ্চতায় রয়েছে বলে জানিয়েছিল ইসরো? এবিষয়ে অবশ্য বুধবার পর্যন্ত ইসরোর পক্ষ থেকে কোনও সরকারি বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
ইসরো সূত্রে জানানো হয়েছিল, শুক্রবার রাত ১:৩৮ মিনিটে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০ কিমি উঁচুতে অবস্থান করেছিল বিক্রম। এরপরে রাত ১:৪৮ মিনিটে সেটি চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭.৪ কিমি উচ্চতায় ছিল। রাত ১:৫০ মিনিটে বিক্রমের নেভিগেশন ব্যবস্থা সঠিকভাবে সক্রিয় হয়েছিল। সেই সময় চাঁদের মাটি থেকে তার দূরত্ব পাঁচ কিমিরও কম ছিল। এর আরও ৮৯ সেকেন্ড পর সেটির চাঁদের মাটি থেকে ৪০০ মিটার উচ্চতায় থাকার কথা ছিল ইসরোর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী। ঘটনাচক্রে সেই সময় থেকেই ইসরোর আইএসটিআরএসি’র সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ল্যান্ডার বিক্রমের। যার কয়েক সেকেন্ড পরই বিক্রমের তোলা প্রথম চাঁদের মাটির ছবি ইসরোর বিজ্ঞানীদের হাতে এসে পৌঁছানোর কথা ছিল। তার আগেই বিক্রমের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্নমহলেই আলোচনা ইসরোর স্ক্রিনে প্রায় ৪০০ মিটার (৩৩৫ মিটার) উচ্চতা পর্যন্ত বিক্রমকে দেখা গিয়েছিল। তাহলে ইসরোর বিজ্ঞানীরা কেন জানালেন চাঁদের মাটি থেকে ২.১ কিমি উচ্চতায় বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কথা বলা হল? সেবিষয়ে এখনও অবশ্য ইসরোর পক্ষ থেকে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে একটি সূত্রের দাবি, ভবিষ্যতে এবিষয়ে ইসরো বিবৃতি দিয়ে কোনটি সঠিক (২.১ কিমি নাকি ৩৩৫ মিটার) তথ্য তা সাধারণকে জানিয়ে দেবে।