কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এই অবস্থা চলতে থাকলে ২০২৪ সালের মধ্যে ভারতকে ৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার অর্থনীতির দেশে পরিণত করার স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রীর কোনওদিনও পূরণ হবে না বলেও নিদান দিলেন মনমোহন সিং। দলের বৈঠকে সরকারকে টার্গেট করে এই মন্তব্য করার পাশাপাশি কংগ্রেস নেতাকর্মীদেরও এই ইস্যুতে সোচ্চার হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, বিজেপি সরকার দেশকে বিপথে চালিত করছে। তাই কংগ্রেসের উচিত তা নিয়ে প্রচার করা। মানুষকে বোঝানো।
ড. মনমোহন সিং বলেন, আমাদের সময়ে ২০০৮ সালে বিশ্বমন্দার মুখে পড়েও ভারতে তার কোনও কুপ্রভাব পড়তে দিইনি। সবার আগে পরিস্থিতির কথা স্বীকার করেছিলাম। কিন্তু এই সরকার তা স্বীকারই করতে চাইছে না। যা দেশের জন্য অত্যন্ত সর্বনাশ। এভাবে চলতে থাকলে গাড়ি, আবাসন শিল্প, ব্যবসা, কৃষি, কর্মসংস্থান সর্বত্র কুপ্রভাব পড়ছে। লাখো মানুষ রোজগারহীন হয়ে পড়বেন। কৃষির আর্থিক বৃদ্ধির হার কমেছে। সর্বোপরি আর্থিক বৃদ্ধির হার কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫ শতাংশ। অথচ সরকার তা স্বীকার না করে কৃত্রিম, সাজানো কতকগুলো মন্তব্য করছেন। তাই আমাদের উচিত প্রকৃত তথ্য তুলে বিজেপি সরকারের মিথ্যাচার সামনে আনা।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা এবং দলকে চাঙ্গা করার স্ট্র্যাটেজি তৈরির লক্ষ্যে আজ সব রাজ্যের প্রদেশ নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন সোনিয়া। সেখানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী যে পরামর্শ দিয়েছেন তা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই মতোই আর্থিক অবস্থা নিয়ে চলতি মাসের ২০ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর প্রদেশস্তরে বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। এরপর ১৫ থেকে ২৫ অক্টোবর জাতীয়স্তরে বড় আকারে কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছে কংগ্রেস।
একইসঙ্গে এদিনের বৈঠকে দলকে চাঙ্গা করতে কড়া দাওয়াই দিয়েছেন সোনিয়া। বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া ছেড়ে রাস্তায় নামুন। আন্দোলন করুন। মোদি সরকার বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচি নিন। সোশ্যাল মিডিয়া ছেড়ে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে বাড়ি বাড়ি যান। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। তাদের কংগ্রেসের আদর্শ, উদ্দেশ্য বোঝান। আর মোদি সরকারের মিথ্যে প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরুন। প্রদেশ নেতৃত্ব সহ রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসির সাধারণ সম্পাদকদের বৈঠকে কংগ্রেস সভানেত্রী মোদি সরকারের প্রতিহিংসা পরায়ণ রাজনীতির বিষয়টি নিয়েও জোরদার প্রচার করার নির্দেশ দিয়েছেন। নাম না করে পি চিদম্বরম, কমলনাথ, ভূপিন্দর সিং হুডা, মোতিলাল ভোরা, ডি কে শিবকুমারের মতো নেতাদের পিছনে ইডি, সিবিআই লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা ইঙ্গিত করেছেন সোনিয়া। দলের মুখপাত্র আরপিএন সিং বলেন, বিরোধীদের শায়েস্তা করতে ইডি, সিবিআইকে লাগানো হচ্ছে, নয়ত নিজেদের দলে টেনে কংগ্রেসকে দুর্বল করতে চাইছে বিজেপি। তবে কংগ্রেস অনেক বড় দল। তাকে এভাবে খতম করা যাবে না। দলের শক্তি আরও বাড়াতে ২ অক্টোরর মহাত্মা গান্ধীর জন্ম সার্ধশতবর্ষে দেশের প্রতিটি রাজ্যে পদযাত্রার পাশাপাশি সদস্য সংগ্রহ অভিযানেও নামছে কংগ্রেস।