কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গোরুর চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা একটি বিশেষ ওষুধের কারণে ২০০০ সালের পর থেকে গোটা দেশ জুড়ে শকুন কমতে শুরু হয়। এরপরে ২০০৪ সালে তা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। তাই বাধ্য হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ২০০৬ সালে শকুনকে রক্ষা করা এবং নতুন করে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয়। একটি অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করে দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় শকুন প্রজনন কেন্দ্র তৈরি করা হয়। এবার সেই প্ল্যানকেই আরও আধুনিক এবং এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এবার আর শুধু শকুন প্রজনন নয়, তাকে প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দেওয়া, সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে চলবে ধারাবাহিক শকুন সুমারির কাজও।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের বন্যপ্রাণ শাখার আইজি সৌমিত্র দাশগুপ্ত বলেন, ফের পাঁচ বছরের অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করা হয়েছে। সেই উদ্দেশে বুধবার কলকাতায় প্রথম বৈঠক করা হয়। চলতি মাসে আরও কয়েকটি বৈঠক করা হবে। এই সমস্ত বৈঠকে যা যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সেগুলিকে একত্রিত করে একটা প্রোটোকল তৈরি করা হবে। একইসঙ্গে রাজ্যগুলির পক্ষ থেকেও যা যা প্রস্তাব পাঠানো হবে, সেগুলিও প্রোটোকলে অন্তর্ভুক্ত হবে। অ্যাকশন প্ল্যানের চূড়ান্ত প্রোটোকলগুলিকে সাজিয়ে খুব শীঘ্রই সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
সৌমিত্রবাবু আরও বলেন, এর আগেরবার কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বনদপ্তর বা বৈজ্ঞানিক সংস্থার পক্ষ থেকে শকুন সুমারির কাজ করা হয়। কিন্তু, একত্রিতভাবে গোটা দেশের ক্ষেত্রে কোনওদিনই করা হয়নি। সেক্ষেত্রে আগামী অক্টোবর মাসে তা গোটা দেশ জুড়ে শুরু করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এপ্রিল পর্যন্ত শুমারির কাজ চলবে। সেন্ট্রাল জু অথরিটির সদস্য সচিব এস পি যাদব বলেন, প্রজনন কেন্দ্রের পাশাপাশি শকুনদের জন্য গোটা দেশের রেসকিউ সেন্টার এবং নিরাপদ এলাকা চিহ্নিত করার পরিকল্পনা রয়েছে এই অ্যাকশন প্ল্যানে।