পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বুধবার সকালে নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে আসিফকে ধরতে সোপোরে তল্লাশি শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিসের ডিজি দিলবাগ সিং জানিয়েছেন, ‘বাহিনীকে থামাতে সে গুলি ছোঁড়ে। তবে সফল হয়নি। এরপরে আমাদের লক্ষ্য করে একটি গ্রেনেড ছোঁড়ে সে। তাতে দু’জন পুলিসকর্মী আহত হন।’ জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর থেকেই আসিফ উপত্যকায় সক্রিয় হয়ে ওঠে। তার নির্দেশে গত একমাস ধরে লস্করের কর্মীরা পোস্টার ছাপিয়ে তা গ্রামে গ্রামে বিলি করে। সেই পোস্টারগুলিতে ব্যবসায়ীদের দোকান না খোলা এবং দৈনন্দিন কাজে বাড়ি থেকে বেশি দূর না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া থাকত। এই নির্দেশ না মানলে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হতো। দিলবাগ সিং আরও জানিয়েছেন, লস্কর জঙ্গিদের হাতে সাধারণ মানুষের একাধিক পিটুনির খবরও সামনে এসেছে।
কীভাবে আসিফের সন্ধান পেলেন গোয়েন্দারা? জানা যাচ্ছে, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের প্রতিবাদে শ্রীনগর সহ গোটা উপত্যকায় বয়কটের ডাক দিয়েছে একাধিক জঙ্গি সংগঠন। সেই বয়কট অমান্য করে ফলের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন সোপোরের এক ব্যবসায়ী। পুলিসের কথায়, এলাকায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে জঙ্গিরা ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা চালায়। তাতে জখম হন পরিবারের তিনজন। গুরুতর আহত হয় ওই ব্যবসায়ীর দু’বছরের নাতনি উসমা জান। তাকে দিল্লির এইমসে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। তবে পরিবার এতে আগ্রহ দেখায়নি। এরপরেই হামলাকারীদের ধরতে চূড়ান্ত প্রস্ততি শুরু করে বাহিনী। ইতিমধ্যে গত সোমবার দক্ষিণ কাশ্মীর থেকে আটজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। এরা স্থানীয়দের বয়কট চালিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিত। এদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে আসিফের কথা জানতে পারেন গোয়েন্দারা। বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিস ট্যুইট করে জানিয়েছে গত মাসে সোপোরে ভিন এলাকার শ্রমিক শফি আলমকে গুলি করার সঙ্গেও যুক্ত ছিল খতম হওয়া লস্কর জঙ্গি আসিফ।
এদিকে, নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে পাকিস্তান থেকে ৪০ জন জঙ্গি ভারতে ঢুকেছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করলেন গোয়েন্দারা। এরা দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা। দিলবাগ সিং জানান, নিয়ন্ত্রণ রেখা পার করে বেশ কয়েকটি জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দেওয়া গিয়েছে। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশের জন্য সীমান্তের ওপারে জঙ্গিরা সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। বেশ কয়কেজন জঙ্গি ভারতে ঢোকার জন্য পাকিস্তানি লঞ্চ প্যাডগুলিতে অপেক্ষায় রয়েছে। পুলিস এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলি পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। জম্মু ও কাশ্মীরে ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর এখনও নিয়ন্ত্রণ জারি রয়েছে। এক নিরাপত্তা আধিকারিক জানিয়েছেন, এরফলে জঙ্গিরা যোগাযোগের অভাবে সমস্যায় পড়েছে। তাই গত দেড় মাসে বড় কোনও এনকাউন্টার হয়নি।