ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
এই নিয়ে এপ্রিল মাস থেকে শুরু হওয়া চলতি অর্থবর্ষে পাঁচবার সুদ কমাল এসবিআই। সবমিলিয়ে ০.৪০ শতাংশ সুদ কমিয়েছে তারা। সোমবারের এই সিদ্ধান্তের ফলে গৃহ ঋণেও কমল সুদের হার। স্টেট ব্যাঙ্কের এমসিএলআর (মার্জিনাল কস্ট-বেসড লেন্ডিং রেট) ০.১০ শতাংশ কমে হয়েছে বার্ষিক ৮.১৫ শতাংশ। আগে যা ছিল ৮.২৫ শতাংশ। এফডির মতো ১০ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন এই হার। এছাড়া আগামীকাল থেকেই খুচরো এবং দু’কোটি টাকার বেশি বিভিন্ন মেয়াদের ডিপোজিটে সুদের হার কমছে যথাক্রমে ০.২০-০.২৫ শতাংশ এবং ০.১০-০.২০ শতাংশ।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রেপো রেটের সঙ্গে তাদের ঋণ ও মেয়াদি জমা সংক্রান্ত প্রোডাক্ট সংযুক্ত করায় আরবিআই সুদের হার কমালে ঋণ ও ডিপোজিটে সুদ কমায় এসবিআই। এদিন তারা এমসিএলআর কমানোয় ব্যাঙ্কিং সেক্টরের সর্বনিম্ন এমসিএলআর হল এটি। ফলে গৃহ ঋণেও কমবে সুদের হার। তবে, এফডিতে সুদের হার কমানোর দুশ্চিন্তার মধ্যেও বাড়ি ঋণে সুদ কমানোয় গ্রাহকদের একাংশের মধ্যে হাসি ফুটিয়েছে এসবিআই। প্রসঙ্গত, এমসিএলআর হল এমনটি হার, যার উপর ভিত্তি করে ঋণ ও ডিপোজিটে সুদের হার ঠিক করে ব্যাঙ্কগুলি।
এই সিদ্ধান্তের ফলে মধ্যবিত্ত সমাজে আর্থিক ধাক্কা লাগবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সাধারণের থেকে প্রবীণ গ্রাহকদের সমস্ত মেয়াদে ০.৫০ শতাংশ বেশি সুদ দেয় এসবিআই। সেই সামঞ্জস্য বজায় রেখে প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রেও স্থায়ী আমানতে কমানো হচ্ছে সুদের হার। তবে, সেভিংস অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের কথা মাথায় রেখে সেখানে সুদ কমায়নি স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া।
আসন্ন উৎসবের মরশুমে দেশবাসীর হাতে বেশি করে নগদের জোগান দিতে এবং সেই নগদ যাতে যথাযথ ব্যবহার হয়, সেই লক্ষ্যেই সুদের হারে এই কোপ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সর্বশেষ তথা ন’বছরের সর্বনিম্ন রেপো রেটের (৫.৪০ শতাংশ) তুলনায় বিভিন্ন ব্যাঙ্কের এমসিএলআর অনেকটাই বেশি। উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি থেকে সবমিলিয়ে ১.১০ শতাংশ রেপো রেট কমিয়েছে আরবিআই।